আজ, সোমবার একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসছেন। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সভা করার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু এই সভা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ঝাঁকড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি বাতিল করেছে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ। আর বিজেপির দাবি, সভা বাতিল নিয়ে কোনও চিঠি তারা হাতে পায়নি। এই টালবাহানা পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে চন্দ্রকোনার ঝাঁকড়া হাইস্কুলের মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে পুলিশ অনুমতি না দিলেও সোমবার সভা হবেই বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
চিঠিতে ঠিক কী লেখা হয়েছে? চন্দ্রকোনা থানা যে চিঠি দিয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের মাঠে সভার অনুমতি দিলেও সেখানকার ম্যানেজিং কমিটি সেই অনুমতি বাতিল করেছে। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে পুলিশের অনুমতিও বাতিল করা হচ্ছে। এই চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে চন্দ্রকোনা টাউনে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি বিপ্লব মালের ঠিকানায়। স্কুলের মাঠে সভা করার অনুমতি দেওয়া প্রধানশিক্ষকের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না বলে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি পুলিশকে জানিয়েছে। আর পুলিশ জানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে।
এখন ঠিক কী পরিস্থিতি? শুভেন্দুর সভা বাতিলের চিঠিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। কিন্তু তারপরও জোরকদমে চলছে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। সুতরাং পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা করতে গেলে আবার গোলমাল হতে পারে। এমনিতেই শিবপুর এবং রিষড়ায় বিজেপির জন্য হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে আবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা করতে গেলে গণ্ডগোল হওয়ার আশঙ্কা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস? শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির ঘাটালের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি বলেন, ‘ঝাঁকরা মাঠেই শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে। কারণ স্কুলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রথমে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। হঠাৎ করে এমন ঘটনা রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূল ভয় পেয়েছে। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় মানুষের ঢল নামছে। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পাইনি।’ পাল্টা দিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী সবসময় সংবিধানের কথা বলেন। যেহেতু স্কুলের অনুমতি নেই তাই পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাহলে উনি কেমন করে সভা করবেন? শুভেন্দু অধিকারী সংবিধানের বাইরে নাকি। গোটা বিজেপি দলটাই ধাপ্পাবাজ। লোক নেই, হঠাৎ করে কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া যেখানে সেখানে জনসভা, শুধু বিজেপির ক্ষেত্রেই সম্ভব।’