পরনে খাঁকি উর্দি। হাতে দা-হাতুড়ি। রাস্তায় নেমে চলছে খানাখন্দ মেরামতির কাজ। ইট ফেলে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে রাস্তার গর্ত। কেটে ফেলা হচ্ছে রাস্তার ধারে ঝুঁকে পড়া গাছগাছালি। কিন্তু যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা কোনও কনট্র্যাক্টর বা ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিক নয়, খোদ পুলিশকর্মী!
শনিবার উর্দিধারী পুলিশকর্মীদের রাস্তা মেরামত করতে দেখে কার্যত চমকে যান সুন্দরবনের ঝড়খালি কোস্টাল থানা এলাকার পথচলতি মানুষ। আইনের শাসন যাঁদের হাতে তাঁরা পথে নেমে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দেন ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ কর্মীরা। এমনই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ঝড়খালি কোস্টাল থানার আধিকারিক প্রদীপ রায়। সকাল থেকে হাতে দা-হাতুড়ি, কোদাল নিয়ে রাস্তায় নামেন পুলিশকর্মীরা। প্রদীপবাবু সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঝড়খালি থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায়। যেখানেই খানাখন্দে ভরতি রাস্তা চোখে পড়েছে , সেখানেই তা বুজিয়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় ঝুঁকে-পড়া গাছের ডালপালা কাটার কাজও করেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, যে রাস্তায় খানাখন্দ বেশি, সেখানে ইট দিয়ে তা ভরাট করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, ‘এই গাছপালা আর খানাখন্দের জন্য যাতে কোনও যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে না-পড়ে, তাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফেরও প্রচার হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সুন্দরবনের রাজপথে নেমে পুলিশের এই মানবিক কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। পুলিশের ভূয়োসী প্রশংসা করার পাশাপাশি কেন এতদিন এই রাস্তাগুলোর মেরামতির উদ্যোগ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর নেয়নি, তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।