থানায় ভর্তি হয়ে রয়েছে গবাদিপশু। যেখানে রয়েছে ১৪ টি গাভী ২৩ শাবক এবং তিনটি মহিষ। দেখে মনে হবে যেন কোনও গোশালা। আসলে কিছুদিন আগেই ওই গাভী, শাবক এবং মহিষগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। এখন পুলিশ আপাতত সেগুলি নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। এই দৃশ্য ধরা পড়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার চারটি পিকআপ ভ্যানে করে ওই গাভী এবং মহিষগুলিকে গবাদিপশু পরিবহণের বিধিভঙ্গ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এগুলি ঝাড়খন্ড থেকে বাঁকুড়ার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই পিকআপ ভ্যান আটকে চালক, খালাসিসহ দশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ সেইসঙ্গে পিকআপ ভ্যান বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গবাদি পশুগুলো আপাতত পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আদালত বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি আদালতের সম্পত্তি। তাই আপাতত গবাদি পশুগুলোকে থানার ভিতরে ওসির আবাসনের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে।
সেখানে গবাদি পশুগুলোকে রাখার জন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ত্রিপল দিয়ে ছাউনি করা হয়েছে। এখন থানার পুলিশ কর্মীরা গবাদি পশুগুলোকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছেন। গাড়ি ভর্তি করে খড় আনার পাশাপাশি তাদের খাবারের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে কচি ঘাস। শুধু তাই নয়, প্রাণী বিকাশ বিভাগের তরফ থেকে নিয়মিত পশুগুলির চিকিৎসাও করা হচ্ছে।
এর মধ্যে যেহেতু বেশ কয়েকটি গাভী রয়েছে তাই দুধ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য থানার পুলিশকর্মীরাই বালতি কিনে দুধ সংগ্রহ করছেন। আর সেই দুধের ক্ষীর বানিয়ে চেটেপুটে রসনা তৃপ্তি করছে পুলিশ। পাশাপাশি অতিথিদেরও ক্ষীর খাইয়ে সেবা করছে পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে 'দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট' ১৯৬০ এর ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।’