পরিচারিকার প্রয়োজন জানিয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বৃদ্ধ। বিজ্ঞাপন দেখেই পরিচারিকার টোপ দিয়ে বৃদ্ধকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে বৃদ্ধকে উদ্ধার করল পুলিশ। একইসঙ্গে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর গুরগ্রাম থেকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত ওই বৃদ্ধের নাম জীবন কৃষ্ণ ঘোষ। তিনি হুগলির পোলবার শংকরবাটীর বাসিন্দা। তিনি একটি বাংলা পত্রিকায় পরিচারিকা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই মানসী সিংহ নামে এক মহিলা পরিচারিকার কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপর বৃদ্ধ তাতে সম্মতি জানালে ওই মহিলা পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তিন দিন পরে ওই পরিচারিকা ঠিক মতো কাজ না করায় বৃদ্ধের সঙ্গে মহিলার বচসা বাঁধে। তারপরেই কাজ ছেড়ে তিনি পালিয়ে যান। তার দশ দিন পরে ওই পরিচারিকা আবার বৃদ্ধকে খুন করে মমতা মাইতি নামে অন্য এক পরিচারিকার খোঁজ দেয়। সেই খোঁজ পাওয়ার পরে মমতাকে বাড়িতে আনতে যান ওই বৃদ্ধ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। তখন তাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তারপরে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তারা বৃদ্ধের বাড়িতে ফোন করে।
এ ঘটনায় পোলবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জীবনবাবুর বাড়িতে আগে পরিচারিকার কাজ করা মহিলাই এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত। এরপরে তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই গ্রামে হানা দিয়ে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ ভৌমিক, কল্যাণ মন্ত্রী, মমতা মাইতি ও মানসি সিংহ। বিশ্বনাথ ও মানসির বাড়ি চন্ডীপুরে।কল্যাণ মন্ত্রীর বাড়ি নন্দীগ্রাম এবং মমতা মাইতির বাড়ি বাচকুল এলাকায়।পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে, তারা গ্যাং হিসাবে কাজ করত। তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে? আগের কোনও রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পোলবা থানার পুলিশ।