একুশের নির্বাচনের মুখে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই সেফ হোম হিসাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রীতিমতো চাটার্ড বিমানে করে শাহী দরবারে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তাঁরও মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই বেসুরো গাইছেন তিনিও। টিকিট পেয়েও গোহারা হেরেছেন। হ্যাঁ, তিনি সাংবাদিক থেকে রাজনীবিদ হয়েছিলেন—প্রবীর ঘোষাল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ কোন্নগর।
নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনিই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। এখন ফের বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। কিছুদিন আগেই তাঁর মা প্রয়াত হন। তারপরই অভিমানের সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব মাতৃবিয়োগের পর খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব কেউ একবার ফোনও করেননি।’ অথচ ৩০ বছর আগে যখন পিতৃবিয়োগ হয়েছিল তখন তপন শিকদার, বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী, সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দাপুটে বিজেপি নেতারা তাঁর বাড়িতে এসে খবর নিয়েছিলেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও তাঁকে ফোন করেছেন বলে জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও করে তিনি বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তির ধারেকাছে কেউ নেই।’
তাই প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যে নতুন করে দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কোন্নগরে দেখা গেল প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার। সেখানে লেখা হয়েছে, মধুচক্রের নায়ক, গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে দলে ফেরানো যাবে না। এই ধরনের পোস্টার দেওয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে হুগলি জেলা। তবে প্রবীর ঘোষালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।