বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নামে আবারও পোস্টারে ছেয়ে গেল বিষ্ণুপুর। পোস্টারে সৌমিত্রকে ‘দালাল’, ‘দুষ্কৃতী’, ‘তোলাবাজ’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, সৌমিত্রকে এই পোস্টারে ‘বিজেপির শত্রু’ বলে দাবি করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজ শনিবার সকাল থেকেই এই পোস্টারগুলি দেখা যায়। এই পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিষ্ণুপুরের রাজনীতিতে। কেন সৌমিত্রকে বিজেপির শত্রু বলে উল্লেখ করা হল? পোস্টারে তা ঘিরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই অসস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শাসক দল এবং গেরুয়া শিবির উভয়েই সরব হয়েছে। তবে বিকেলে বিজেপি যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তাতে বিষ্ণুপুর থেকেই টিকিট পেয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
আরও পড়ুন: ‘সৌমিত্র দালালের বিদায় চাই’, বর্ষশেষে বিষ্ণুপুরে সাংসদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার
আজ সকাল থেকে ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৌমিত্রর নামে পোস্টার চোখে পড়ে। বাসস্ট্যান্ডের দেওয়ালে পোস্টার ও ব্যানার চোখে পড়ে। সাদা কাগজে কালো কালিতে লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে সেখানে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং হরকালী প্রতিহারের দাদা হিসেবে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কাজ করছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি এলাকায় তোলাবাজি চালিয়েছেন। তাঁকে দুষ্কৃতী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বিজেপির টিকিট বিক্রির অভিযোগ তোলা হয়েছে সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন পোস্টারকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এমন পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরে একে অপরকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। সেটা বুঝতে পেরেই শাসক দলের তরফে এরকম কাজ করা হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। তবে এভাবে তারা কোনওভাবে জিততে পারবে না। এটা পঞ্চায়েত ভোট নয়। অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল এরকম রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এটা যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল সেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।