বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > চাকরির নামে ‘টাকা খেয়েছেন’ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক,অয়নের এজেন্ট?

চাকরির নামে ‘টাকা খেয়েছেন’ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক,অয়নের এজেন্ট?

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি। 

হুগলিতে এবার নয়া অভিযোগ। পান্ডুয়ার এক মহিলার অভিযোগ ওই শিক্ষক চাকরি দেওয়ার নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। 

নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নয়া মোড়। একেবারে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। তিনি নাকি ধৃত অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই শিক্ষককে দিয়েই অয়ন অনিয়ম করিয়েছে বলে হুগলির পান্ডুয়ায় অভিযোগ।

পান্ডুয়ার বালিহাট্টার বাসিন্দা নাসিরা খাতুন নামে এক মহিলা সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেছিলেন ২০১৫ সালে ওই ব্যক্তিকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এমনকী ওই শিক্ষক সেই সময় অয়নের কথাও নাকি জানিয়েছিলেন। মহিলার দাবি, বিকাশ ভবনের পেছনের একটি ভবনে তার ইন্টারভিউ হয়েছিল। কিন্তু চাকরির দেখা নেই। এরপর তিনি বার বার ওই শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরৎ দেননি তিনি। অভিযোগ ওই মহিলার। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। চুঁচুড়ায় তাঁর বাড়িতেও যাই। আমার মতো আরও কয়েকজন গিয়েছিলেন। অয়ন চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি হয়নি।

কিন্তু কে ওই শিক্ষক? সূত্রের খবর, ওই মহিলার দাবি অনুসারে শিক্ষকের নাম শেখ আব্বাস আলি। তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। যে সময় তিনি মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সেই সময় ওই শিক্ষক তৃণমূলে ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভাপতি পদেও বসেছিলেন।

তবে এনিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিছু করে থাকলে দায় তার। অভিযোগের সত্যতা থাকলে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আব্বাসের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ ছিল। সেকারণেই তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

তবে আব্বাসের পালটা দাবি, পুরো মিথ্যে কথা বলছেন ওই মহিলা। তিনি প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন। তাঁর দাবি ওই মহিলা আমার পরিচিত। তার সঙ্গে অন্য কারণে গোলমাল হয়েছিল। আর তিনি ২০২১ সালের জুন মাসে চায়ের দোকানে আমাকে ধরে চাকরির নামে টাকা তোলার মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন। আমাকে হেয় করার জন্যই এসব করা হয়েছিল।

মহিলার দাবি তিনি পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এমনকী তার দাবি, বিগতদিনে আব্বাসকে রাস্তায় পেয়ে তিনি টাকা চেয়েছিলেন। সেই সময় এনিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তিও হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আব্বাসের দাবি, এসব তৃণমূলের চক্রান্ত। তিনি কোনওভাবেই এই সব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।

 

বন্ধ করুন