মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে মালদা থেকে এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, জীবন দাস নামে ওই গৃহশিক্ষকের মদতেই প্রশ্ন ফাঁস করছিলেন পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে মানিকচকের মালুটোলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই চক্রে আর কেউ যুক্ত কি না তা জানতে ধৃতকে জেরা চলছে।
চলতি মাধ্যমিকে প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় প্রশ্ন ফাঁসের ধারা। হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র। তবে প্রশ্নপত্রে থাকা গোপন কোডের সাহায্যে যে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে তাদের চিহ্নিত করা হয়। সোমবার ইংরাজি পরীক্ষার দিন একই ভাবে ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র। ফের চিহ্নিত করা হয় পরীক্ষার্থীদের। মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে
সাত জন পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদের পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। জানা যায় তারা প্রত্যেকেই গোপালপুর হাই স্কুলের পড়ুয়া। তাদের মধ্যে আবার ৪ জনের বাড়ি বালুটোলায়। পুলিশ তাদের জেরা করে জানতে পারে মানিকচকের গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামের গৃহশিক্ষক জীবন দাস MP 2024 Question Out নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন। সেই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫০। সেই গ্রুপেই পরিকল্পনা মাফিক প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে।
এর পরই মঙ্গলবার রাতে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন গৃহশিক্ষক জীবন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি কোচিং সেন্টার চালাতেন বলেও জানা যাচ্ছে।
বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করলে বিচারক ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই চক্রে আর কার মদত রয়েছে জানতে ধৃতকে জেরা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
বলে রাখি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বাৎসরিক উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই প্রবণতায় রাশ পরাতে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে ইউনিক কোড বসিয়েছে ২ পর্ষদ। আর তাতেই এসেছে সাফল্য।