লাঠি হাতে ময়দানে নামলেন আলিপুরদুয়ারে মহকুমাশাসক। মূলত নেশার ঠেক ভাঙতে এগিয়ে এলেন মহকুমা শাসক। তাঁকে দেখে দে দৌড় নেশার কারবারীদের। একেবারে মাঠে নেমে নেশার কারবারীদের তাড়া করলেন মহকুমা শাসক। মহকুমা শাসককে এভাবে দাবাং মুডে দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকাবাসী। চর প্রমোদনগর এলাকায় চলে যান এসডিও।
আলিপুরদুয়ারের কালজানি নদীর ধারে সোমবার দুুপুরে আচমকাই হাজির হন মহকুমা শাসক। গাড়ি থেকে নেমেই সামনে পড়ে নেশার কারবারীরা। এরপর তিনি লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। এমনকী স্থানীয় এলাকায় কারা এই ধরনের নেশার কারবারের সঙ্গে যুক্ত সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবি, দিনে দুপুরে নেশার কারবার চলছে। যুব সমাজ নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। ঘরে ঘরে অশান্তি। যেটুকু উপায় করছে তা নেশার টাকা জোগাড় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার সেই নেশার ঠেক ভাঙতে এগিয়ে এলেন মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার। গাঁজার গাছ উপড়ে ফেলে দেন তিনি। গোল হয়ে বসে যারা নেশা করছিলেন তাদের তাড়া করেন এসডিও।
মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, নদীর চরে নেশার ঠেক বসছে বলে এলাকাবাসীরা সরাসরি আমায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপরই আমার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে চলে যাই। এই ধরনের কারবার করতে দেওয়া যাবে না। একাধিক পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুলিশ সব জেনেও চুপ করে থাকে। তবে এদিন যেভাবে মহকুমাশাসক নিজেই এব্যাপারে উদ্যোগী হলেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাছাড়া এর জেরে নেশার কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তারা কিছুটা হলেও এবার ভয় পাবে।
এদিকে একটি ঘরে মদের আসর বসে বলেও অভিযোগ এসেছিল। সেকথা শুনেই ঘটনাস্থলে যান এসডিও। ঘরের তালা ভেঙে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। এমনকী একটি বাড়িতে গাঁজা গাছের চাষ হচ্ছে বলে খবর আসে। তিনি দ্রুত সেই বাড়িতে চলে যান। ফুলগাছের মধ্যে লুকিয়ে সেখানে গাঁজার গাছ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়।
তবে শুধু আলিপুরদুয়ারের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নয়, কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙার বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই বাড়ির উঠোনে গাঁজার চাষ করার নজির রয়েছে। অন্যান্য গাছের মধ্য়েই সেখানে গাঁজা গাছ থাকে। বেড়ার ধারেও থাকে গাঁজার গাছ। সব জেনেও চুপ করে থাকে পুলিশ। অভিযোগ এমনটাই।