বোর্ড গঠনের দিন পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকারি নথি চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূলি সদস্য। শনিবার পুজো করে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে সেই পঞ্চায়েতে ঢুকল বিজেপি। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের। এই আয়োজন নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বললেন, ‘আড়াই বছর ধরে এই পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। জনগণের দাবি মেনে আমরা শুদ্ধকরণ করলাম।’
গত ১০ অগাস্ট কমলাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল বোর্ড গঠনের পর্ব। ১৯ আসনের পঞ্চায়েতে ৯টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিডিও যে কাগজে প্রধান নির্বাচনের ভোটের ফল লিখেছিলেন তা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন এক তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য। এর পরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় পঞ্চায়েতের সামনে। বিজেপি নেতাকর্মীরা পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। শেষে অবশ্যর বিজেপির টিকিটে জেতা সদস্যই প্রধান নির্বাচিত হয়।
শনিবার সেই পঞ্চায়েতের দায়িত্ব খাতায় কলমে নিল নতুন বোর্ড। এদিন পঞ্চায়েতে প্রবেশের আগে পুরোহিত ডেকে পুজোপাঠ হয়। তার পর গঙ্গাজল ছেটানো হয় গোটা পঞ্চায়েত দফতরে। এর পর পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেন বিজেপির সদস্যরা।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য গণেশ বিশ্বাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই পঞ্চায়েতে আমরা জিতেছিলাম। তৃণমূল ঘোড়া কেনাবেচা করে আমাদের কাছ থেকে আড়াই বছর পরে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছিল। এবারও মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছে। এসে স্পষ্ট মানুষ আমাদেরই চায়। গত আড়াই বছরে পঞ্চায়েতে বিজেপি ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। তাই আমরা পঞ্চায়েত ভবন শুদ্ধ করে প্রবেশ করলাম। সাধারণ মানুষের দাবি মেনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।