বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > গায়ের জোরে ঠাকুরনগরের অবরোধ তুলল পুলিশ

গায়ের জোরে ঠাকুরনগরের অবরোধ তুলল পুলিশ

বুধবার সকালে ঠাকুরনগরে চলছে অবরোধ

বুধবার ভোরে হাট থেকে ফুল কিনে ভোর ৩.১৫-র ট্রেনের অপেক্ষা করলেও ট্রেন আসেনি। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ৪.৪০ মিনিটে দ্বিতীয় শিয়ালদামুখি ট্রেনটিও বাতিল হওয়ায় শুরু হয় অবরোধ।

ভোরের ট্রেন চালানোর দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে উঠল রেল অবরোধ। বুধবার ভোর ৫টায় শুরু হওয়া অবরোধ চলে রাত পর্যন্ত। অবরোধকারীদের দাবি, বনগাঁ শাখায় শিয়ালদামুখি প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন চালানোর প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ কার্যত জোর করে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ।

ঠাকুরনগর ও সংলগ্ন এলাকার অর্থনীতি অনেকাংশে ফুলচাষের ওপর নির্ভরশীল। সেই ফুলের বিকিকিনি হয় ঠাকুরনগর স্টেশন লাগোয়া ফুলের হাটে। সারা রাত চলে হাট। সেখান থেকে ফুল কিনে স্থানীয়দের একাংশ ভোর ৩.১৫-র ট্রেনে করে পৌঁছন কলকাতা ও শহরতলিতে। বেলা পর্যন্ত কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন বাজারে ফুল বিক্রি করে দুপুরের ট্রেনে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। ফুল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতুয়া ও তপশিলি জাতিভুক্ত।

লকডাউন চলকালীন লোকাল ট্রেনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ছোট ছোট ট্রাক ভাড়া করে কলকাতায় আসতেন একসঙ্গে অনেক ফুল ব্যবসায়ী। যার ফলে খরচ হত বেশি। কিন্তু উপায়ান্তর না থাকায় এভাবেই চলেছে মাসের পর মাস। স্বাভাবিক সূচি মেনে ট্রেন চালু হওয়ার পর ফের ট্রেনেই কলকাতায় আসছিলেন ফুল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ছন্দপতন হয় বুধবার ভোরে।

বুধবার ভোরে হাট থেকে ফুল কিনে ভোর ৩.১৫-র ট্রেনের অপেক্ষা করলেও ট্রেন আসেনি। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ৪.৪০ মিনিটে দ্বিতীয় শিয়ালদামুখি ট্রেনটিও বাতিল হওয়ায় শুরু হয় অবরোধ। রেল লাইনে ফুল ছড়িয়ে অবরোধ চালিয়ে যান কয়েক হাজার ফুল ব্যবসায়ী। ফুল ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, করোনা কি শুধু প্রথম আর দ্বিতীয় ট্রেনে ছড়ায়? এখানে ১০ হাজার মানুষ কলকাতায় ফুল বেচে খায়? তারা কী করে বাঁচবে? আমাদের ট্রেন ফিরিয়ে দিতে হবে। বুধবার দিনভরের চেষ্টাতেও অবরোধ চলেনি। বনগাঁ শাখার সমস্ত ট্রেন চলেছে গোবরডাঙা পর্যন্ত। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ যখন অবরোধকারীরা গোটা রাত অবস্থানের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন তখন পুলিশ কার্যত গায়ের জোরে অবরোধ তুলে দেয়।

রেল সূত্রের খবর, রাতে নাইট কার্ফু থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলেই রেল ট্রেন চালাতে তৈরি।

বন্ধ করুন