সারাদেশে রেলের বহু জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখন সেই সমস্ত জমিকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়াতে চায় রেল। সেক্ষেত্রে ওই সমস্ত জমি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দিচ্ছে। এর জন্য ল্যান্ড পার্সেল হিসেবে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।রেল এর আগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন নুনগোলার জমি, আসানসোলে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিস সংলগ্ন জমি লিজে দিয়েছে। এবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন বারাক কলোনির জমিকে লিজ দিতে চাইছে রেল। রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (আর এল ডি এ) দায়িত্বে রয়েছে রেলের জমি। প্রাথমিকভাবে রেলের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ৯৯ বছরের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই জমি লিজ দেওয়া হবে।
অবস্থানগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই জমি বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে খুব লাভজনক হবে বলে মনে করছে রেল। সেই কারণে এই জমি কোনও সংস্থাকে লিজ দেওয়ার জন্য ন্যূনতম ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৬ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই জমিটি জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মাত্র ৫-৭ মিনিট দূরে অবস্থিত। এছাড়া, এই জমির পাশেই রয়েছে গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এবং রেলের অফিস। জলপাইগুড়িকে বলা হয় দার্জিলিং কালিম্পং এবং গ্যাংটক শহর সহ পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার প্রবেশদ্বার। ফলে বাণিজ্যিকভাবে এই জমি লাভবান বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। এ প্রসঙ্গে আরএলডিএ-র চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ দুদেজা বলেন, 'এই জমিটি অবস্থানগতভাবে এবং বাণিজ্যিকগত ভাবে খুবই সুবিধাজনক। সে ক্ষেত্রে যে কোনও সংস্থা এই জমি লিজ নিলে তারা লাভবান হবেন।'
এই সমস্ত সুবিধার পাশাপাশি সেখানে রেলের কর্মীদের জন্য নতুন করে ৯৬টি আবাসন তৈরি হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৮ জানুয়ারি মধ্যে আগ্রহী ক্রেতারা দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। তবে রেলের কর্মী সংগঠন জমি লিজ দেওয়া নেওয়ার বিরোধিতা করছে।