বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Ranaghat Robbery: দুষ্কৃতী–পুলিশের গুলির লড়াইয়ে নায়ক এএসআই, সাহসিকতায় মুগ্ধ রানাঘাটবাসী

Ranaghat Robbery: দুষ্কৃতী–পুলিশের গুলির লড়াইয়ে নায়ক এএসআই, সাহসিকতায় মুগ্ধ রানাঘাটবাসী

এইভাবে দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করছেন এএসআই রতন রায়। নিজস্ব ছবি

মঙ্গলবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই কার্যত সিনেমার দৃশ্যকে হার মানিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। অকুতোভয় সেই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ রানাঘাটবাসী।

মঙ্গলবার নদিয়ার রানাঘাটে সোনার আউটলেটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই দেখেছে শহরবাসী। দুষ্কৃতীরা গুলি ছুটতে ছুটতে এগিয়ে গেলেও তাতে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে পালটা গুলি ছুড়তে ছুড়তে একাই দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল না। ওই ব্যক্তির দৌলতেই ৪ ডাকাতকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে লুট হয়ে যাওয়া গয়না। আসলে ওই ব্যক্তি হলেন রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়।  

আরও পড়ুন: রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের গ্যাং, জানালেন DIG

মঙ্গলবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই কার্যত সিনেমার দৃশ্যকে হার মানিয়েছে। অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। অকুতোভয় সেই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ রানাঘাটবাসী। তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। ডাকাতদের গ্রেফতার এবং সোনা উদ্ধারের পর রানাঘাটে এখন রতন বাবুকে নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সহকর্মী এবং উপর মহলের অফিসাররা তাঁর সাহসিকতার মুগ্ধ। 

জানা গিয়েছে, ওই সোনার আউটলেটে ডাকাত দল হানা দেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই রতন বাবুকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় রানাঘাট থানার পুলিশ। এরপর তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ফলে তড়িঘড়ি পোশাক পরার সময়টুকুও পাননি। তিনি জানান, মোট ৪ জন অফিসার এবং ৬ জন পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপর সোনার দোকান থেকে বের হতেই পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে । রতনের শরীরের ওজন প্রায় ১০০ কেজি হওয়ায় দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। পালটা গুলি চালিয়ে তিনি দুষ্কৃতীদের কিছু ধাওয়া করেন। রতন বাবুর কথায়, গুলি লাগতে পারে সেই ভয় তাঁর ছিল না। তিনি একটাই কথা ভাবছিলেন যে কোনওভাবে তাদের ধরতে হবে। এলাকার বাসিন্দারা তাদের ধরতে সাহায্য করেছে বলেই তিনি জানান।

অবশ্য পুলিশের ফিটনেস নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। কিন্তু রতনবাবুর যেভাবে তৎপরতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই করে ধরেছেন তাতে ফিটনেস ভুলে গিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। এছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থলে পুলিশের দেরিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। সেই প্রসঙ্গে রতনবাবু জানান, অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ দেরিতে খবর পায়। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রতন বাবু। তাঁর সাহসিকতায় মুগ্ধ স্ত্রী আত্মীয় সহ বন্ধুরা।

 

বন্ধ করুন