শিলিগুড়িতে স্ত্রীকে খুনের পর ২ টুকরো করে খালে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আনসারুলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, বহু আগে থেকেই খুন করার জায়গা বাছাই করে সেখানে ছুরি, বস্তা ও বদলানোর জন্য পোশাক রেখে এসেছিল অভিযুক্ত। এমনকী খুনের আগে স্ত্রীকে বিরিয়ানি খাওয়ায় সে। অভিযুক্তের দাবি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
২৪ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশির পর শুক্রবার তিস্তা ক্যানাল থেকে পাওয়া গিয়েছে নিহত রেণুকা খাতুনের বস্তাবন্দি ধড় ও কাটা মুন্ডু। সেই দেহাংশ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ওদিকে এদিনই পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের সে জানিয়েছে, আগে থেকেই ফাঁসিদেওয়ার সুদামগছের গোয়ালটুলি এলাকাটি স্ত্রীকে খুনের জন্য বাছাই করে রেখেছিল সে। এমনকী খুনের অস্ত্র, দেহ লোপাটের জন্য বস্তা ও খুনের পর বদলানোর জন্য নিজের পোশাক সেখানে লুকিয়ে রেখে আসে আনসারুল।
২৪ ডিসেম্বর খুনের আগের দিনও ঘটনাস্থল রেইকি করে সে। পরদিন স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমে যায় বিরিয়ানির দোকানে। সেখানে স্ত্রীকে বিরিয়ানি খাওয়ায় আনসারুল। এর পর তাঁকে নিয়ে যায় তিস্তা খালের পাশে। নির্জন জায়গায় স্ত্রীকে খুন করে লুকিয়ে রাখা বস্তায় ভরার চেষ্টা করে পেশায় রং মিস্ত্রি ওই যুবক। কিন্তু গোটা দেহটা সে বস্তায় ঢোকাতে পারেনি। তখন লুকিয়ে রাখা ছুরি দিয়ে দেহ থেকে মুন্ডু কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্ত। এর পর ধড় ও মুন্ডু তিস্তা খালে ফেলে দেয়। এর পর পোশাক বদলে চলে আসে বাড়িতে।
এখানেই শেষ নয়, আনসারুল সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে দাবি করলেও পালটা নিহতের পরিবারের দাবি মাটিগাড়া এলাকায় এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে আনরাসরুলের। তার জেরেই রেণুকাকে খুন করেছে সে।
নিহতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আনসারুল ও রেণুকার। আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। তার পর রেণুকাকে বিয়ে করতে পাগল হয়ে উঠেছিল ওই যুবক।