আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এবার বামেদের জোট সঙ্গী ছিল আইএসএফ। ভাঙরের সেই বিধায়কের ভাড়া বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার বোমা। এলাকায় জনসংযোগ করার জন্য় তিনি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বুধবার রাতেও তিনি ওই ভাড়া বাড়িতেই রাত কাটান। এলাকায় আতঙ্ক তৈরির জন্য ও বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য এই বোমা মজুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
বুধবার রাতে এই বোমাগুলি মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশ গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। এদিকে বিধায়কের বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোথা থেকে এই বোমাগুলি এল তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি। গ্রামে বোমা পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিধায়কের অভিযোগ, 'এলাকায় থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ঘর ভাড়া নিয়েছি। জনসংযোগ করছি। কিন্তু তা সহ্য করতে না পেরেই কিছু দুষ্কৃতী এসব করছে। শাসকদলের ছত্রছায়ায় এরা রয়েছে। আমি রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি। হয়তো আমার ঘরেই ওরা হামলা চালাতে চেয়েছিল। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করব।' তবে বিধায়কের তোলা অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি, ‘বিধায়ক পরিকল্পনা মাফিক এসব করছে। এলাকা উত্তপ্ত করার জন্য করছে।’