বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি খোয়ালেন নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ

প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি খোয়ালেন নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ

শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্চিতা প্রধান

২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩০ জন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষকের চাকরি গিয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি চলে গেল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমন চাকরি হারানো শিক্ষকের সংখ্যা ৩০। এখানেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্চিতা প্রধানের নাম উঠে এসেছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩০ জন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে খবর, যে তালিকা এসে পৌঁছেছে, তাতে ২০ নম্বরে রয়েছে সঞ্চিতা প্রধানের নাম।

কী বলছেন প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি?‌ নন্দীগ্রাম থানার উত্তর বয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন সঞ্চিতা প্রধান। এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌কলকাতা হাইকোর্ট ও স্টেট বোর্ডের নির্দেশে এই জেলার ৩০ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের দ্রুত বরখাস্ত করার পাশাপাশি বেতন বন্ধের নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে।’‌ যদিও শিক্ষিকা সঞ্চিতা প্রধানের দাবি, এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই।

ঠিক কী বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক?‌ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌উনি মহাদেবের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ১০–১২ লাখ তো দিয়েছেনই। পরীক্ষা দেননি। বেসিক নেই। টেট পাশ করেননি। তারপরেও প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এরকম হাজার হাজার আছে। সব যাবে চাকরি। হরি হরি বোল।’‌

বন্ধ করুন