রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে বোকা বানিয়ে এক ব্যাবসায়ীর প্রায় ১.৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। দুর্গাপুরের এই ঘটনায় প্রতারিত ব্যাবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ঠা মে, ফোনে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের এক ব্যাবসায়ীর পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ঐ ব্যাঙ্কের বেনাচিতি শাখার ম্যানেজারকে এইদিন বিকেল চারটে নাগাদ ফোন করে এক ব্যাক্তি বলেন, অসুস্থতার কারণে টাকা দরকার। একটি একাউন্ট নম্বর দিয়ে ওই ব্যাক্তি রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে দ্রুত প্রায় বারো লক্ষ টাকার কিছু অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করার জন্য বলেন। কিন্তু ম্যানেজার তখন জানান, এত টাকা একাউন্টে নেই। ফোনের ওপার থেকে তখন প্রশ্ন করেন, কত আছে? উত্তরে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার খোঁজ খবর নিয়ে বলেন দুই লক্ষের মতো। সাথে সাথে ফোনের ওপার থেকে উত্তর আসে তাড়াতাড়ি ১.৭০ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিন।
ওদিকে বেনাচিতি বাজারের ওই অটোমোবাইল ব্যাবসায়ীর অফিসের একাউন্ট সেকশন হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখে একাউন্ট থেকে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা উধাও। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করেন ব্যাবসায়ী। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথা শুনে তিনি হতবাক।
ঘটনায় মঙ্গলবার দুর্গাপুর থানা ও কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় ব্যাবসায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর প্রশ্ন, কোনওরকমভাবে নিশ্চিত না করে কীভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ফোনের কথায় বিশ্বাস করে এতগুলো টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিল?
একই দিনে বেনাচিতি শাখার আরএ একটি ব্যাঙ্কে ফাঁদ পেতেছিল ও প্রতারক দল, কিন্তু সেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সরাসরি ওই অটোমোবাইল ব্যাবসায়ীকে ফোন করলে প্রতারণার চেষ্টা ফাঁস হয়। থানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
দুর্গাপুর থানা ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানা অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তথ্য বলছে, শুধু আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর সাইবার ক্রাইম শাখায় গত তিন মাসে প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো টির মতো মামলা হয়েছে।
ব্যাঙ্কের বেনাচিতি শাখার চিফ ম্যানেজার ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। ফোনে জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।