কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে স্কুলে এসেছিল শিক্ষা দফতরের চিঠি। সেই চিঠিকে কেন্দ্র করে স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শিক্ষিকারা। চুলের মুঠি ধরে শিক্ষিকাকে মারধর করলেন অন্য এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার হাওড়ার সাঁতরাগাছির কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনে। জানা গিয়েছে, দুজন শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ জানানোই এক শিক্ষককে হুমকি দিয়েছেন স্কুলেরই বেশ কিছু শিক্ষক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাদের এরকম মারধরের ঘটনায় উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: নেশা করে স্কুলে এসে মেরে ২ ছাত্রের কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
কী অভিযোগ?
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের কিছু শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জয়ন্ত মণ্ডল এবং এক সহকারী শিক্ষিকা। তার ভিত্তিতে স্কুলে শিক্ষা দফতরের চিঠি আসে। মূলত সেই চিঠিকে কেন্দ্র করে এদিন ঘটনার সূত্রপাত হয়। কেন করা হল অভিযোগ? এই প্রশ্ন তুলে জয়ন্ত মণ্ডলকে স্কুলেই বেশ কয়েকজন শিক্ষক হেনস্থা করছিলেন। তারই প্রতিবাদে করায় শিক্ষিকাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকা মহুয়া পাখিরা এবং রুমকি নামে ওই সহকারী শিক্ষিকা। তাঁদের দুজনকেই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকাকে সুদীপ্তা সরকার চুলের মুঠি ধরে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। আহত দুই শিক্ষিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এদিকে, ঘটনার পরেই সেখানে পৌঁছয় চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত শিক্ষিকা মহুয়া পাখিরা বলেন, ‘স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা স্টাফ রুম রয়েছে। এদিন শিক্ষকদের ঘরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমি সেখানে যাই। তখন আমার মোবাইলে আলো জ্বলছিল। তখন কয়েকজন শিক্ষক আমার ওপর চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। আমি ভিডিয়ো করিনি বলে ওদের জানাই। এর পরে সুদীপ্তা সরকার আচমকা রুমকির চুলের মুঠি ধরে মারধর করতে শুরু করে। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। তাকে মারতে দেখে আমি সুদীপ্তাকে আটকাতে যাই। কিন্তু সেও আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারতে শুরু করে। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল মাথার খুলি বেরিয়ে যাবে।’ এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষিকা।
অন্যদিকে, জয়ন্ত মণ্ডল জানান, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে চিঠি পাঠানোকে কেন্দ্র করে তাঁকে এদিন চেপে ধরেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা চলছিল। এমনকী তাঁকেও মারধর করার হুমকি দিয়েছেন ওই শিক্ষকরা। পরে প্রধান শিক্ষক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।