রাজবংশী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ২ জনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজরোষের মুখে পড়তে হয়েছে উত্তরবঙ্গের এই ২ সম্প্রদায়কে। কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এই অভিযোগ করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, শাসকের এই গুন্ডামির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে বিজেপি।
এদিন শংকবাবু বলেন, রাজবংশী ও আদিবাসী, রাজ্যের পিছিয়ে থাকা এই ২ সম্প্রদায়ের থেকে ২ জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথমবার দেশের মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব পেয়েছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ও আদিবাসীদের এই উত্থান সহ্য করতে পারছেন না দক্ষিণ কলকাতার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই ২ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছেন তিনি’।
শংকরবাবু মনে করান, ‘সম্প্রতি বালুঘাটে বিজেপিতে যোগদান করায় মধ্যযুগীয় প্রথায় ৩ মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়েছে তৃণমূল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কালিয়াগঞ্জের রাজবংশী নাবালিকাকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়ছে। সেই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে উঠে পড়ে লেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ।’
কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিচালনা নিয়ে শংকরবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদিবাসী ও রাজবংশী বিদ্বেষের জন্যই আজকে পুলিশের গুলিতে মরতে হল ৩৩ বছরের তরতাজা যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে। বুধবার বিকেলে নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তার পর হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে গিয়েছে পুলিশ। বিজেপি এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে মানুষের পাশে আছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এই পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পথে নামব।’