সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানা এবং তার সমাধানের উদ্দেশ্যে কলকাতা পুরসভায় চালু হয়েছিল ‘টক টু মেয়র’ পরিষেবা। সাফল্যের সঙ্গে এখনও সেই পরিষেবা চলছে এরপর শিলিগুড়ি পুরসভায় ‘টক টু মেয়র’ পরিষেবা চালু হয়েছে. আর এবার ‘টক টু চেয়ারম্যান’ চালু করতে চলেছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এসজেডিএ। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ‘দু'বছরেও হয়নি কাজ’, টক-টু-মেয়রে মেজাজ হারিয়ে ফিরহাদ বললেন, ‘আমায় পদ ছাড়তে হবে’
গত এক বছর ধরে হোয়াটসঅ্যাপে এই কর্মসূচি চালাচ্ছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। সে ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সমস্যার কথা লিখে পাঠাতে পারছেন সাধারণ মানুষ। হোয়াটসঅ্যাপে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া মেলার পর এবার ফোনে এই কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এসজেডিএ। সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপে টক টু চেয়ারম্যান কর্মসূচিতে শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৭০০টি অভিযোগ এসেছে। যার মধ্যে অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এবার ফোনে এই কর্মসূচি চালানো হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফোন করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। যার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতি মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা থেকে ৪টে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালানো হবে। তার জন্য ৮২৯৩৩৩৫৫০৫ ফোন নম্বরটি চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার শিলিগুড়িতে তৈরি হবে মডেল ও সিগনেচার রোড। পাশাপাশি দার্জিলিং, দিঘা ও জয়গাঁতে অতিথি নিবাস তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও শহরের রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত, গাছ লাগানো, পানীয় জল এবং পথচারীদের বসার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফুটপাতে শরীর চর্চা করে করতে পারবেন নাগরিকরা। অন্যদিকে, মান্নাগুড়ি থেকে বর্ধমান রোডের তিনবাত্তি পর্যন্ত সিগনেচার রোড করা হবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া রাস্তার পাশে কোনও যানবাহনকে পার্কিং করতে দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, পর্যটনের উন্নয়নের ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে এসজেডিএ। এক্ষেত্রে বাংলার তিনটি পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং, দিঘা এবং জয়গাঁতে গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা করেছে এসজেডিএ। এই সমস্ত জায়গাগুলিতে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সেই কারণে তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য জিটিএ, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে জমি চেয়েছে এসজেডিএ।