বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > প্রশ্নপত্র পাওয়া, উত্তরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে নাজেহাল পরীক্ষার্থীরা, কলেজেই জটলা!

প্রশ্নপত্র পাওয়া, উত্তরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে নাজেহাল পরীক্ষার্থীরা, কলেজেই জটলা!

প্রতীকী ছবি

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইসলামপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রছাত্রীরা কেউ কেউ বন্ধ গেটের বাইরে, কেউ ছাতা খুলে পরীক্ষা দিয়েছেন মাঠে।

দেশজুড়ে চলছে আনলক ফাইভ। বাংলায় ইতিমধ্যেই মেট্রো–সহ একাধিক পরিষেবা খুলে গিয়েছে। স্কুল খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কলেজে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ তথা চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার প্রথম দিনে শুনতে পাওয়া গেল এই অভিযোগ।

ঠিক কী ঘটেছে?‌ এক, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র পেলেন না অনেকে। দুই, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোর্টালে উত্তরপত্র আপলোড করতেও হিমশিম খেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। তিন, নানা এলাকায় দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ, স্মার্টফোন না থাকা–সহ বিভিন্ন সমস্যায় অনলাইনে পরীক্ষার শেষে উত্তরপত্র পিডিএফ পদ্ধতিতে জমা দেওয়া সমস্যার হয়ে ওঠে। ইন্টারনেট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় প্রত্যন্ত গ্রামের পরীক্ষার্থীদের।

পরে বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থায় কলেজে খাতা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গান্ধীজয়ন্তীর ছুটির দিনে পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের একাংশ। অনলাইনে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা হওয়ায় ছুটি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিকল পরিষেবার জন্য কোনও কোনও ছাত্রছাত্রীকে কলেজ গেটের বাইরে, গাছের নীচে, চায়ের দোকানে বসে পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে।

পানাগড়ের কাছে দামোদরের চরমানা গ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী অনলাইনে খাতা জমা দিতে অসুবিধায় পড়ার কথা জানান। কাটোয়ার চন্দ্রপুর কলেজ সূত্রে খবর, অনেকেই কলেজে এসে খাতা জমা দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইসলামপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রছাত্রীরা কেউ কেউ বন্ধ গেটের বাইরে, কেউ ছাতা খুলে পরীক্ষা দিয়েছেন মাঠে। কলেজ সংলগ্ন এলাকার দোকানের বারান্দা, সিঁড়িতে গাদাগাদি করেও পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা।

পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ই-মেলে খাতা জমা দিলেও, তা জমা পড়েছে কি না জানার উপায় থাকছে না। তাই তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ডেলিভারি রিপোর্ট দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, সেই ব্যবস্থা হবে।

বন্ধ করুন