বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কিশোরীকে সোনাগাছিতে বিক্রির পর ২ দিন হোটেলে রেখে ধর্ষণ, ৩ জনকে ধরল পুলিশ

কিশোরীকে সোনাগাছিতে বিক্রির পর ২ দিন হোটেলে রেখে ধর্ষণ, ৩ জনকে ধরল পুলিশ

প্রতীকী ছবি

এর পর ২ দিন ধরে কখনো ডায়মন্ড হারবারে, কখনো আরামবাগে হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে অপরিচিত যুবকদের সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ধর্মতলার একটি হোটেলে তাকে রাখে সেই দালাল।

নাবালিকা পাচারের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই নাবালিকা তার বয়ানে জানিয়েছেন, তাঁকে বিয়ে করার টোপ দিয়ে কলকাতায় ডেকে এনে সোনাগাছিতে বিক্রি করে দেয় পরিচিত এক যুবক। তার পর বিভিন্ন শহরে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দেবব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনায় বড়সড় নারীপাচার চক্র জড়িত বলে অনুমান পুলিশের।

গত ২৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ঢোলাহাট থানা এলাকার ওই নাবালিকা। পুলিশে অভিযোগ করে পরিবার। ৩১ জানুয়ারি তাকে কলকাতার ধর্মতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর নাবালিকা পুলিশকে জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে কলকাতায় ডেকে আনে পরিচিত এক যুবক। তার পর তাঁকে নিয়ে যায় সোনাগাছিতে। সেখানে এক দালালের কাছে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর পর ২ দিন ধরে কখনো ডায়মন্ড হারবারে, কখনো আরামবাগে হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে অপরিচিত যুবকদের সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ধর্মতলার একটি হোটেলে তাকে রাখে সেই দালাল। কোনওক্রমে হোটেল থেকে বেরিয়ে বাড়িতে ফোন করে সব কথা জানান। এর পর পরিবারের লোকেরা ঢোলাহাট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে যে যুবকের আশ্বাসে নাবালিকা কলকাতায় গিয়েছিলেন তাঁকে। তার কাছ থেকে দালালের নাম ঠিকানা পান তদন্তকারীরা। এর পর গ্রেফতার করা হয় সোনাগাছির সেই দালালকে। তিনি পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা এক ব্যক্তির নাম জানান। তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তিন জনকে কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হয়েছে। নাবালিকা পাঠানো হয়েছে সরকারি হোমে।

 

 

 

বন্ধ করুন