বছর আড়াই আগে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সমন পাঠাল বিধানগরের সাংসদ বা বিধায়কদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আদালত। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় শাহ বা তাঁর আইনজীবীকে সশরীরের আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
বিশেষ আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় যে মানহানির ধারায় মামলা করা হয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার জন্য শাহকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে হবে বা কোনও আইনজীবীর মাধ্যমে উত্তর দিতে হবে।
একটি বিবৃতিতে অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১১ অগস্ট মেয়ো রোডে বিজেপির একটি সভায় অভিষেকের উদ্দেশে মানহানিকর মন্তব্য করেছিলেন শাহ। তার ভিত্তিতে ২৮ অগস্ট মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় শাহকে সমন পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অভিষেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন শাহ। অভিযোগ করেছিলেন, সিন্ডিকেট দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন অভিষেক। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।’ সূত্রের খবর, ওই সভা থেকে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন শাহ। সারদা, রোজভ্যালির মতো চিটফান্ড, সিন্ডিকেটের রমরমা-সহ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুর্নীতির একটি সিরিজ চালিয়ে যাচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, অভিষেক নিজের বাবার বয়সের শিশির অধিকারীকে ‘তুই’ হিসেবে সম্বোধন করছেন। ‘আদালতের লড়াইয়ে যা হওয়ার হবে, আমরা আইন মেনে চলি, আমরা আইন মেনেই চলব।’ তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের আদালতে তৃণমূল হেরে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ নিয়ে আক্রমণের লাগাতার আক্রমণের মধ্যে আড়াই বছরের পুরনো মামলায় শাহকে সমন পাঠানো হল।