প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য। গত বছর আগস্ট মাসে জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী। এবার জামিন পেয়ে গেলেন তাঁর ছেলেও। বিচারপতি এম এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথলের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছর নভেম্বর মাসে স্কুলে দুর্নীতি মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করেন শৌভিক। সেই আবেদনের প্রায় তিন মাস পর জামিন পেলেন তিনি।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য আদালতে আত্মসমর্পন করেন। দুজনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এর পর আবেদনের ভিত্তিতে গত আগস্ট মাসেই জামিন পেয়ে যান শতরূপা। সেই জামিনে সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, অনন্তকাল ধরে কাউকে আটকে রাখা যায় না।
পড়ুন। বিতর্কিত মন্তব্য, দলের সমালোচনা, মমতার ধমক, তবুও অপরিহার্য ছিলেন প্রয়াত ইদ্রিস আলি
পড়ুন। 'পার্থের স্ত্রী'র বিজনেস পার্টনার, কালো টাকা খাটানো' রাজীবের বাড়িতে ED, কে তিনি
এর পর শৌভিক আদালতের কাছে জামিনে আবেদন করেন। তখন তিনিও প্রশ্ন করেন, তাঁকে দিনের পর দিন কেন আটকে রাখা হচ্ছে? কেন তিনি জামিন পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন মানিক ভট্টাচার্য। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর ঠাঁই হয় প্রেসিডন্সি জেলে। তার পর কিছুদিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলে। ইডি-র অভিযোগ ছিল ঘুরপথে তাঁদের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকছে। পাশাপাশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে বলে ইডি-র অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই আদালতে আত্মসমপর্ণ করেন মানিকের স্ত্রী ও ছেলে ও তাঁর ।
টাকা তোলার অভিযোগ
ইডি-র দাবি মানিকের ছেলের একটি পরামর্শদাতা সংস্থা ছিল। বেসরকারি বিএড কলেজগুলি থেকে প্রায় ২ কোটির বেশি টাকা তোলে মনিক ভট্টাচার্যের ছেলে। তাদের কোনও পরিষেবা দেয়নি বলে অভিযোগ। আবার টাকাও ফেরতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। ইডি-র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও তাঁর ছেলে নাম রয়েছে।
এখানে উল্লেখযোগ্য হল, এর আগে তিনটি আথির্ক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন পলাশি পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
পড়ুন। কাপলদের ছবি-রিলের গুঁতোয় তিতিবিরক্ত ব্যবসায়ীরা! 'ফায়ার' হল হাওড়ার ফুল বাজার