যে কাজ করার জন্য বেতন পান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, সেই দায়িত্ব কাঁধে নিতে হল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে। স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ে যান বিচারপতি। স্কুলে গিয়ে দেখেন ৪৫ জন শিক্ষক – শিক্ষিকার মধ্যে ১২ জনই গরহাজির। এর পর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)এর কাছে রিপোর্ট তলব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ায় পড়ে যান মমতা', চোট কপালে, নাকে! SSKM-র ডিরেক্টর আরও যা জানালেন
কলকাতা হাইকোর্টে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানির দায়িত্বে রয়েছেন বিচারপতি বসু। বর্তমানে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বসছে তাঁর এজলাস। বৃহস্পতিবার আদালতের কাজ শেষের পর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলেকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পোস্ট অফিস মোড়ে ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ে গিয়ে থামে তাঁর গাড়ি। বিচারপতি নিজে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন একথা বুঝতেই স্কুলের শিক্ষকদের বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যায়। এর পর স্কুল পরিদর্শককে সঙ্গে নিয়ে গোটা স্কুল ঘুরে দেখেন বিচারপতি বসু। খতিয়ে দেখেন হাজিরা খাতা। দেখতে পান, স্কুলের ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জনই গরহাজির। এর পর স্কুল নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শককে রিপোর্ট দিতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে এবার নিয়ে আসা হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি, বাংলায় পড়তে হবে শ্রীজাতর কবিতা
বিচারপতি বসু জানিয়েছেন, ‘স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ভালো। তবে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ক্লাসরুম ছোট। স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতির হার বেশ কম। তাছাড়া জানতে পারলাম স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি একটা রিপোর্ট দিতে বলেছি’। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, ‘বিচারপতি স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিপোর্ট দিলে আমি তাঁকে রিপোর্ট দেব।’ স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিমান বসু বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ অপ্রতুল। মোট ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬ জন স্কুলের অন্যান্য কাজে বাইরে রয়েছেন। ৬ জন ছুটিতে রয়েছেন। স্কুলের তরফে অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে রিপোর্ট দেওয়া হবে।’
বিচারপতি বসু জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনও জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন তিনি।