বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল শুভেন্দু অধিকারী নাকি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সেটা কবে ছাড়বেন তার দিনক্ষণ–তারিখ জানাননি শুভেন্দুবাবু। কিন্তু এদিন তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে সূত্রের খবর। তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই খবর চাউর হতেই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে আবার চর্চিত হচ্ছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
নিজেই যখন একের পর এক পদ ছেড়ে দিচ্ছেন তখন দল বা মন্ত্রিসভা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এটাকে অনেকে ডানা ছাঁটা হতে পারে শুভেন্দুর বলে মনে করছেন। কারণ সৌগত রায়ের সঙ্গে দৌত্যের পরও বেঁকে বসেন শুভেন্দু। তখন থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু হয় তাঁর ডানা ছাঁটার। এই পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
বিষয়টি নিয়ে নবান্ন সভাঘরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার ফেডারেশনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সালেই শুভেন্দু অধিকারী এই দায়িত্ব পান। প্রথম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফেডারেশনের মেন্টরের দায়িত্বে ছিলেন। এরপরই গত বছর জুন মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। এবার তাঁকেই সরিয়ে দেওয়ার ভাবনা শুরু হয়েছে।
সে বিষয়ে অবশ্য নবান্নে কিছু বলেননি। তবে তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি না থাকার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যতদিন না এই ফুল কাজটা না শেষ হচ্ছে, ততদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান হবেন।’