একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তিনি বিধায়ক। কিন্তু একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পরই তিনি আর বিধায়ক নন। হেরে গিয়েছেন। তারপর থেকেই বিজেপির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইলেও তাঁকে এখনও নেওয়া হয়নি। হ্যাঁ, তিনি প্রবীর ঘোষাল। যদিও এই বছর বিজয়া দশমীতে প্রবীর ঘোষালকে ঢাকের তালে নাচতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? এই ছবি সামনে আসতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন বিজেপির সঙ্গে প্রবীরের আর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী ২০২১ সালের ২ মে’র পর থেকে আর কোনও সম্পর্ক নেই। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন হুগলির গোঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ওঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ২ মে’র পর ২১ মাস হতে চলল বিজেপির সঙ্গে ওঁর কোনও ছবি দেখাতে পারবেন না। আমি ১৬ ঘণ্টা দলের সঙ্গে থাকি, আমি জানি।’
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে এই ছবি কি প্রভাব ফেলবে? প্রশ্ন উঠতেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক দাবি করেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব বুথে প্রার্থী দেব। চোরেদের পঞ্চায়েত ফেলে দিন। সবে তো ভোর। সন্ধ্যার আগে ঝাঁপ বন্ধ করে দেব। চোরেরাও যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার স্তব্ধ করে দেব।’ অর্থাৎ যে বিষয়টি কয়েকদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানেন না এবং তিনি বলেননি বলে দাবি করেছিলেন, সেই সরকার ফেলার বিষয়টি নিয়ে এখন অনড় শুভেন্দু। সুতরাং দলের মধ্যে একটা বিভাজন রেখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আর কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? বুধবার গোঘাটের শাওড়ায় বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এখানকার একটা বিধায়ক ছিলেন। সে তো খাঁটি চোর। বালি চোর। ডানকুনিতে আমি নামই বলে দিয়েছিলাম। আমাকে বলে কি না চিঠি ধরাব! বিরোধী দলনেতাকে সম্মান দেয় না সরকার। ডেরেক ও’ব্রায়েন জেনে রাখুন, ভারতবর্ষের কোনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করে বাইরে রেখে বিধানসভা হয়নি। ভারতের লোকসভা বা অন্য কোনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নামে এফআইআরও হয়নি কখনও, যেটা আমার নামে হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় সচিব এফআইআর করিয়েছেন স্পিকারের নির্দেশে।’