লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সভায় আরও একবার মুসলিমদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বুথ কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় সাধারণ মুসলিমদের থেকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতাদের আলাদা করার চেষ্টা করলেন তিনি। এমনকী, যে জমিতে সভাটি হচ্ছে সেটিও এক মুসলিমের বলে উল্লেখ করে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দুবাবু।
গত কয়েক মাস ধরেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ কমিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। এদিন তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা বুঝেছেন। তাঁরা বুঝেছেন, এই দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে থাকা যাবে না। গত সাড়ে ১২ বছরে ১০০টা মুসলিম গুন্ডা বড়লোক হয়েছে। আর লক্ষ লক্ষ মুসলিম গরিব হয়েছে। আর সওকত মোল্লা, আনোয়ার, জাহাঙ্গির, আরাবুল, শাহাজাহান শেখের মতো গুন্ডারা কোটি কোটি বেআইনি টাকার মালিক হয়েছে’।
এর পর তিনি বলেন, ‘চোর মমতা কাল দেগঙ্গায় যে মিটিং করেছে। সেই দেগঙ্গার যে ব্লক প্রেসিডেন্ট আনিসুর রহমান তার নিউ দিঘায় ৩টে হোটেল আছে। এরা গোটা লুঠ করেছে রাজ্যে। আর দিঘা - মন্দারমণিতে এসে বিনিয়োগ করেছে। আতিবুরের হোটেল আছে। বালুর বউয়ের নামে চারটে হোটেল’।
একই সঙ্গে এদিনের সভায় বক্তব্যের শুরুতে ওই জমির মালিককে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দুবাবু। বলেন, ‘আমি সব থেকে আগে কৃতজ্ঞতা জানাব এই জমির মালিক, রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিম বাওউদ্দিন সাহেবকে। বাওউদ্দিন সাহেব NOC না দিলে এই সভা আমরা এখানে করতে পারতাম না। APJ আবদুল কালামের ভক্ত বাওউদ্দিন সাহেবরাই আমাদের রাষ্ট্রের গর্ব ও আমাদের সম্পদ’।
২০২৪ সালের ভোটে বিজেপির আসন বৃদ্ধি করতে বড় ভরসা মুসলিম ভোট। কারণ মুসলিম জনসংখ্যা কম এমন সব রাজ্যেই বিজেপির আসন প্রায় সম্পৃক্ততায় পৌঁছেছে। ফলে নতুন আসন জিততে গেলে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে দলকে। সেই নির্দেশে পৌঁছেছে শুভেন্দুবাবুর কাছেও। ফলে আপাতত মুসলিমদের কাছে টানার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।