টানা ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের চালকল থেকে বেরিয়ে গেলেন আয়কর আধিকারিকরা। বুধবার সকালে শিবানী রাইস মিলে শুরু হওয়া তল্লাশি শেষ হল শুক্রবার বিকেলে। তার পরই স্থানীয় একটি দলীয় সভায় তন্ময় বললেন, ‘যত হেনস্থা করা হবে আমার জেদ আরও বাড়বে।’
গত বুধবার সকালে তন্ময় ঘোষের চালকলে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। ২০২১ সালের ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তন্ময়। বিজেপির টিকিটে ভোটেও জেতেন। গত অগাস্টে তিনি ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। দল বদলের পর থেকেই তন্ময়ের কারবার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিজেপি। তারই মধ্যে বিধায়কের চালকলে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। ৫৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর শুক্রবার বিকেলে প্রচুর নথি নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।
এদিন আয়কর অধিকারিকরা তাঁর চালকল থেকে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যে এক দলীয় সভায় তন্ময় বলেন, ‘আমাকে হেনস্থা করা হল। আমি কোনও দুর্নীতি সঙ্গে এক শতাংশও জড়িত নই। পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে আঙুল তোলা হচ্ছে। ১৯৬৫ সালে থেকে আমাদের ব্যবসা। এমন নয় যে, তৃণমূলে আসার পর থেকে ব্যবসা করছি। তাই যত হেনস্থা করা হবে, আমাদের জেদ আরও বাড়বে।’
যদিও বৃহস্পতিবার আয়কর হানা চলাকালীন বিজেপির কর্মসূচিতে বিষ্ণুপুরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ‘বাকিবুরের মতো চালকলকে ব্যবহার করে রেশন দুর্নীতি করেছে তন্ময় ঘোষ’। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, একথা জেনেও কেন তন্ময়কে বহিষ্কার করেনি বিজেপি? তাহলে কি ওয়াশিং মেশিন তত্ত্বই সত্য?