কলকাতায় হোমস্টে। এটা ছুটি কাটানোর জন্য় ঠিক নয়। ভিনরাজ্য থেকে বা ভিনদেশ থেকে যারা চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতায় আসছেন তাদের থাকার জন্য়ও এই হোমস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আসলে বাংলা থেকে যেমন হাজার হাজার রোগী যান ভিন রাজ্য়ে। তেমনি ভিন রাজ্যে ও ভিন দেশ থেকে হাজার হাজার রোগী কলকাতায় চিকিৎসার জন্যও আসেন। কিন্তু তাঁদের কলকাতায় এসে থাকার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা থেকেই যায়। সেই সমস্যা দূর করতে এবার এগিয়ে এল পুরসভা।
পিকনিক গার্ডেন, হরিদেবপুর ও বেহালা এলাকাতেও একই ধরনের হোমস্টে গড়ে তোলা হয়েছে। কী ধরনের ব্যবস্থা থাকছে এই হোমস্টে গুলিতে?
এখানে একদিকে যেমন ডবল বেডের রুম থাকবে তেমনি সিঙ্গল বেডের রুমও থাকবে। তবে এখানে যে কেবলমাত্র চিকিৎসার জন্য় আসা ব্যক্তিরাই থাকতে পারবেন এমনটা নয়। যাঁরা নানা প্রয়োজনের কলকাতায় এসেছেন, নিছক বেড়ানোর জন্যও এসেছেন তাঁরাও এই হোমস্টেতে থাকতে পারবেন।
কলকাতা পুরসভা ও পর্যটন সংস্থার উদ্যোগে এই হোমস্টে তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে কলকাতায় ৬টি হোমস্টে রয়েছে। পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে এই হোমস্টে গুলি বুক করা যেতে পারে। বর্তমানে যে সমস্ত জায়গায় হোমস্টে রয়েছে সেগুলি হল যতীন দাস রোডের জুনস হোমস্টে, শ্যামবাজারের কেসি বোস রোডের ওহ, কলকাতা সুতানুটি হোম স্টে, নেতাজি নগরে টেক প্ল্যানেট হোম স্টে, ভূপেন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে টিউলিপ টাচ হোমস্টের পাশাপাশি বেহালা, গড়িয়াহাটেও হোমস্টে রয়েছে।
এদিকে হোমস্টে বলতে সাধারণত অনেকেরই মনে আসে পাহাড়ের কথা। অনেকেই বর্তমানে কিছুটা অফবিট জায়গায় হোটেলে না থেকে হোমস্টেতে ঘরোয়া পরিবেশে থাকতে চান। তবে এবার কলকাতাতেও হোমস্টের উদ্যোগ।
তবে সাধারণ মানুষও প্রয়োজনে হোমস্টে তৈরি করতে পারেন। তবে সেজন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও মেলে। টুরিজম ডাইরেক্টরেটের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ হোমস্টে খুলতে পারেন। কলকাতা পুরসভা, পুলিশ, পর্যটন দফতর যৌথভাবে সেই জায়গায় পরিদর্শন করে সেখানে কোন ধরনের হোমস্টে করা যাবে তার জন্য ছাড়পত্র দেন। তার ভিত্তিতেই হোমস্টে খোলা যায়।
এক্ষেত্রে www.wbhomestaytourism.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য় জানা যেতে পারে। পর্যটন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনিয়ে প্রয়োজনীয় আবেদন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অতিথিদের যাতে সমস্যা না হয় সেটা দেখাও দরকার।