অসম্মানজনক সাম্মানিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির পর প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল রাজ্যজুড়ে। কিন্তু তাতে কাজ হল কই? আরও অধ্যাপকদের আরও কম পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিয়ে জারি হল বিজ্ঞপ্তি। যার ফলে গত মার্চে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক ফিরল তপন নাথানিয়াল মুর্মু মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে। তফাত হল তখন পারিশ্রমিক ছিল ক্লাসপ্রতি ৩০০ টাকা, আর তপন কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে তা নেমেছে ১০০ টাকায়।
তপন কলেজে অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তাদের ক্লাসপ্রতি ১০০ টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সেখানে। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই সামান্য সাম্মানিক অধ্যাপকদের প্রাপ্য নয় বলে সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। যতই তাঁরা অতিথি শিক্ষক হোন না কেন। পালটা কলেজের যুক্তি, অতিথি শিক্ষকের খরচ বহন করতে হয় কলেজকেই। আর কলেজের যা আর্থিক অবস্থা তাতে এর থেকে বেশি সাম্মানিক দেওয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অতিথি শিক্ষকরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাস নিতে পারবেন। সেই হিসাবে মাসে তাঁদের সাম্মানিক হবে ৬০০০ টাকা।
এই সাম্মানিক যে একজন দিনমজুরের থেকেও কম তা মেনে নিয়েছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য অমলকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে ক্লাস বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস না করে ফিরে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ করতে হচ্ছে। আমরা জানি এই সাম্মানিক খুবই কম। হয়তো দিনমজুরের থেকেও কম। কিন্তু এর থেকে বেশি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা কলেজের নেই।’ তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১০ জন অতিথি অধ্যাপক পদে আবেদনও জানিয়েছেন।