পুজোর আগে যেখানে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু চা বাগান শ্রমিকদের বোনাস দেওয়ার পথে হেঁটেছিল সেখানে বন্ধ ছিল আলিপুরদুয়ারের রায়মাটাং চা বাগান। শ্রমিকদের বোনাস তো দূরের কথা, এমনকী শ্রমিকদের বকেয়াও দেয়নি মালিকপক্ষ। যার ফলে পুজোর মধ্যে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন চা বাগানের প্রায় ১২০০ জন কর্মী। এর আগেও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। এবার বকেয়া মেটানো না হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও, চা বাগানে বোনাস নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনেই
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুদিনের মধ্যে বকেয়া মেটানো না হলে তারা বিন্নাগুড়িতে মালিক সংগঠনের কার্যালয় (ডিবিআইটিএ) ঘেরাও করবেন। তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই চা বাগান বন্ধ হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নিমতি মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিডিও পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। পুজোর সময় যখন সকলেই মণ্ডপ পরিদর্শনে মেতে ছিলেন সেই সময় নিজেদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছিলেন শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, সপ্তমীর দিন রায়মাটাং চা বাগানের কয়েকশো শ্রমিক শিলিগুড়িতে বাগান মালিক শ্যামসুন্দর গোয়েলের বাড়ি ঘেরাও করেন। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। পরে মালিকের বিরুদ্ধে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন রাখবেন। মালিক সংগঠনকে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। যদিও তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে মালিক সংগঠন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। তবে আর দু-একদিনের মধ্যে বকেয়া মেটানো না হলে তারা মালিক সংগঠনের কার্যালয় ঘেরাও করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
ওই চা বাগানের শ্রমিক ইউনিয়নের বক্তব্য, বকেয়া না পেলে সেক্ষেত্রে মালিক সংগঠনের কার্যালয় ঘেরাও করতে পারেন। ইতিমধ্যে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। যদিও মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে একমত। তারাও চাইছেন শ্রমিকরা যাতে দ্রুত তাদের বকেয়া পেয়ে যান। শ্রম দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকরা যাতে বকেয়া পেয়ে যান সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।