ছাত্রীকে বাড়িতে পড়াতে গিয়ে অভিনব কায়দায় চুরির অভিযোগ উঠল এক গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। পোশাক পাল্টানোর আছিলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ঘর থেকে বাইরে বের করে দিনের পর দিন আলমারি খুলে নগদ টাকা ও গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনার স্তম্বিত গোটা পরিবার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শাঁখারী বাজার এলাকায়। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ওই গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা ছাত্রীকে পড়াতে এসে আবারও চুরির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখনই তাকে হাতেনাতে ধরে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। বুধবার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহশিক্ষিকার নাম প্রার্থনা কোলে। আদতে পুরশুড়ার বাসিন্দা হলেও গত দেড় বছর ধরে বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছিলেন তিনি। সেকারণে বিষ্ণুপুরের ছিন্নমস্তা দলমাদল রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। মাস তিনেক ধরে শাঁখারীবাজারের বাসিন্দা ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পড়াতে শুরু করেন প্রার্থনা।
ওই ছাত্রীর মা পাপিয়া পালের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা দুপুর বেলায় মেয়েকে পড়াতে আসতেন। কোনওদিন পোশাক পাল্টানোর নামে, তো কোনওদিন নানা অছিলায় মেয়েকে ঘর থেকে বাইরে বার করে দিতেন তিনি। তারপর ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিতেন ওই শিক্ষিকা। প্রথমদিকে বিষয়টি ততটা গুরুত্ব দেননি পরিবারের লোকেরা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রীর অভিভাবকেরা খেয়াল করেন, তাঁদের ঘরের আলমারির মধ্যে থেকে নগদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ছাড়াও বেশকিছু সোনার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। তখনই ওই শিক্ষিকার উপর তাঁদের সন্দেহ গাঢ় হয়। তাঁদের বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে বুঝতে পেরেই এরপর বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর পরিবার।