দিঘায় বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন পর্যটক। মহিলার উপর দিয়ে চলে গেল স্পিড বোট। এর ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই মহিলা। শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গিয়েছে। যদিও এদিন বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, আহত পর্যটকদের নাম হল ইয়াসমিনা খাতুন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। স্পিড বোট থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে এদিন বিপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: বিধায়ক তহবিলের ৫১ লক্ষ টাকায় স্পিড বোট! বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের সুব্রত
জানা গিয়েছে , পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ইয়াসমিনা। পর্যটকদের অনেকেই দিঘায় এসে স্পিড বোটে চড়ে থাকেন। সেরকম ইয়াসমিনাও স্পিড বোটে চড়েছিলেন। কিন্তু, স্পিড বোটে চড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। সচেতনতা অবলম্বন না করায় কোনওভাবে তিনি স্পিড বোট থেকে ছিটকে জলে পড়ে যান। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর উপর দিয়েই চলে যায় স্পিড বোট। তাতেই গুরুতর আহত হন তিনি। স্পিড বোটের পাখায় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়। তবে লাইফ জ্যাকেট থাকায় গুরুতর দুর্ঘটনার হাত থেকে তিনি রক্ষা পান। তড়িঘড়ি মহিলাকে জল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার জেরে অনেক পর্যটকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এমন ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ইয়াসমিনা হাওড়ার বাউড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি নববর্ষে পরিবারের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারপর স্পিড বোটে চেপেছিলেন। লাইফ জ্যাকেট থাকায় স্পিড বোটের ফ্যানে বড়সড় কোনও আঘাত পাননি তিনি। তবে মহিলা হাত, পা এবং পিঠে চোট পেয়েছেন। এই ঘটনায় বোট চালানোর ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবকে দায়ী করছেন অনেকেই।
যদিও এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগ গত অক্টোবর মাসেও এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল দিঘায়। স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক পর্যটক। ওই পর্যটক দিঘায় স্নান করার সময় আচমকা একটি স্পিড বোট এসে ধাক্কা মারে। ঘটনায় স্পিডবোটের পাখার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওই পর্যটক। পরে ওই পর্যটকের চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরেই পদক্ষেপ করে প্রশাসন। সিদ্ধান্ত হয়, ভিড় এলাকায় কোনও ভাবেই স্পিড বোট চালানো চলবে না। স্পিড বোট চালাতে গেলে ফাঁকা জায়গায় চালাতে হবে।