বাংলা খনি শিল্পে ও কার্যত পুনর্বাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন ঝরিয়া, রানিগঞ্জ কোলফিল্ড প্রজেক্টের কাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য় এগোচ্ছে না।
বাংলার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঝরিয়া, রানিগঞ্জ কোলফিল্ড প্রজেক্ট প্রায় ৬ বছর আগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সরকার এটা এগোতে দিচ্ছে না।
বাংলার কয়লাখনি সার্বিক উন্নতি ও কয়লা অঞ্চলের পুনর্বাসন নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা বলা হয়। তারপরেও কয়লাখনি এলাকার পুনর্বাসন পরিস্থিতি যে তিমিরে সেই তিমিরেই থাকে। অনেকের মতে আসলে ওই সমস্ত এলাকার ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে নানা প্রশ্ন নানা সময়ে উঠেছে। কিন্তু তারপরেও তার কোনও বড় সমাধান এখানও হয়নি। প্রতিবার ভোট আসে, ভোট যায়। তারপরেও সেই সমস্যার সমাধান হয় না।
এদিকে পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে আদালতের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে। তারপরেও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বার বার। এমনকী ভোটের আগে ভোট প্রচারে গিয়ে নেতারা বার বার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নিট ফল শূন্য।
২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডে কোল ইন্ডিয়ার বিসিসিএল-এর অন্তর্গত ঝরিয়া ও পশ্চিমবঙ্গে ইসিএল রানিগঞ্জ কয়লাখনি অঞ্চলকে পুনর্বাসনের জন্য় দুটি প্রকল্প বরাদ্দ করেছিল। রানিগঞ্জ প্রকল্পে ২৬৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। আর ১২৬টি এলাকার ২৯ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের উপযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
এদিকে ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম দফায় কোল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে ৫৮১ কোটি টাকা পাঠায়। এরপর ১০,১৪৪টি আবাসন নির্মাণের মূল কাজ শুরু হয়। এদিকে সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে মূল কাঠামো আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে দ্বিতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। তার জেরে আবাসনগুলির বাইরের ও ভেতরের কাজ চলছে। সালানপুরের দাসকেয়ারির দুটি জায়গায়, জামুড়িয়ার বিজয়নগর ও অন্ডাল বিমানবন্দর এলাকায় এই আবাসন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য় গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।