আগামী ১২–১৪ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে থাকছে ট্রাক ধর্মঘট। পুজোর ঠিক মুখে এই ট্রাক ধর্মঘটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার জেরে এখন সবজি–আনাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যে টানা ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট ডেকেছে ট্রাকমালিক সংগঠনগুলি। সুতরাং মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আগামী ১২, ১৩ এবং ১৪ অক্টোবর ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু কেন এই ধর্মঘট? ট্রাকমালিকদের সূত্রে খবর, হাইওয়েতে রীতিমতো পুলিশি জুলুম চলছে। ক্ষতি এড়াতে ২৫ শতাংশ বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি চাইছেন তাঁরা। ধর্মঘটে কাজ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
এখন ট্রাক মালিকদের দাবি কী? জানা গিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যের মতো ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে, লোডিং পয়েন্ট থেকে ওভারলোড বন্ধ করতে হবে। ট্রাকের ওপর ডাক পার্টি, ট্যাগ পার্টি, থানায় থানায় মাসিক পুলিশকে টাকা দেওয়া, এম ভি আই ভিয়েলারো এবং বালি–পাথর মাফিয়ার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে৷ পাশাপাশি মোটর ভেহিকেলসের বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের অকারণ হয়রানি বন্ধ করতে হবে৷
এদিকে ট্রাক মালিকদের অভিযোগ, পুলিশের চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে কেস দিয়ে জরিমানা আদায় করছে। এছাড়া নো এন্ট্রির নামে পুলিশের অত্যাচার বাড়ছে। পাশাপাশি সেচ দফতর এবং বিএলআরও–র জুলুম চলছে।
অন্যদিকে, ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় জানান, এই ধর্মঘটে কাজ না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলন হবে৷ একাধিক দাবির কথা বহুবার পরিবহণমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷ রাজ্যপালকেও জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি৷
পুজোর মুখে ধর্মঘটের তিনদিন রাজ্য থেকে যেমন ভিনরাজ্যে পণ্যবাহী ট্রাক যাবে না, তেমনই বাইরের রাজ্যের ট্রাকও এই রাজ্যে প্রবেশ করবে না৷ফলে প্রায় ৫ লক্ষ ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে৷ এখনই আলু, পেঁয়াজের দাম ঊর্দ্ধমুখী৷ সবজির দাম ছ্যাঁকা লাগার মতো৷ তার মধ্যে ট্রাক ধর্মঘটে অগ্নিমূল্য হতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম৷