পাহাড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু একটা করতে চায়। ক্রমাগত পাহাড় নিয়ে নানা ছক কষা হচ্ছে। আর তা করছেন দু’জন বিজেপি সাংসদ। এক, রাজু বিস্তা দুই, জন বারলা। তাঁদের নানা রিপোর্ট জমা পড়ছে নয়াদিল্লিতে। তারই প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বসতে চলেছে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। শীঘ্রই দিন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তারপরই সরকারিভাবে চিঠি পাঠাবে কেন্দ্র। শুক্রবার দেখা গেল নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক বসেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। বৈঠক শেষে তিনি সেপ্টেম্বর মাসের কথা সাংবাদিকদের জানান।
সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসে এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে পাহাড় সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই নিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং রাজ্য সরকারকে চিঠি দিতে চলেছে কেন্দ্র। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই ফের চাপানউতোর শুরু হয়েছে পাহাড়ে। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গত বছর অক্টোবর মাসেও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার পাহাড়কে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদরা।
শুক্রবার দেখা যায়, পাহাড়ে বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিং, সিপিআরএম নেতা রত্নবাহাদুর রাই, বিজেপির জেলা সভাপতি কল্যাণ দেওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ। এখানে ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা এবং কার্শিয়ংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাও। সেখানেই ঠিক হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবে কেন্দ্র। তখন পাহাড়ের ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির বিষয়ও উঠবে বলে খবর।
বিমল গুরুং বিজেপি শিবির থেকে সরে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করেছেন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আবারও পাহাড় নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। পাহাড়ে বিজেপি–বিরোধী গুরুংপন্থী মোর্চা, অনীতপন্থী মোর্চা, জন আন্দোলন পার্টি–সহ বেশ কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠন জোট বাঁধতেই নড়েচড়ে বসে গেরুয়া শিবির। তাই বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।