জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকেই চরমে দলীয় কোন্দল। যার জেরে আলিপুরদুয়ারে বরখাস্ত করা হল ২ তৃণমূল নেতাকে। সোমবার দলের জেলা সহ সভাপতি নিরঞ্জন দাস ও ফালাকাটা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানান তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের শো কজ করে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার আলিপুরদুয়ারের রবীন্দ্রভবনে ছিল নবগঠিত জেলা কমিটির প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন একাধিক নেতা। বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে যান নিরঞ্জনবাবু। এর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে দলীয় নেতৃত্বের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। এমনকী অন্য দলে যোগদানের ইঙ্গিতও দেন।
নিরঞ্জনবাবুর দাবি, তাঁকে বৈঠকে অপমান করা হয়েছে। পুরো বলতে দেওয়া হয়নি। বৈঠকে একাধিক নেতা কেন গরহাজির তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁকে বুথ ও পঞ্চায়েত নিয়ে বলতে বলা হয়। কিন্তু তা মানতে চাননি তিনি।
বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘দলবিরোধী কাজ ও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় নিরঞ্জন দাস ও সঞ্জয় দাসকে শো কজ করে বহিষ্কার করেছে দল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত কোনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে পারবেন না তাঁরা।’