লোকসভার সান্ত্বনা হিসেবে জুটল বিধানসভার উপ-নির্বাচনের টিকিট। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে অনেক আশা থাকলে শেষপর্যন্ত টিকিট দেয়নি দল। তাতে অভিমানও হয়েছিল। আর সেই ‘অভিমান' ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একটি অংশের বক্তব্য, গত ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় তৃণমূলের প্রার্থীতালিকার প্রকাশের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের কথা অন্যান্য ভোটে বিবেচনা করা হবে। আজ সেই কথা রাখলেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। প্রার্থী করলেন সায়ন্তিকাকে। যিনি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকও বটে। আর মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য রেয়াত হোসেন সরকারকে টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। যে আসনে ৬০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটার আছেন।
এখন কেন বরানগর এবং ভগবানগোলায় উপ-নির্বাচন হচ্ছে?
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন তাপস রায়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিটও দিয়েছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে বিধায়ক-শূন্য হয়ে পড়ে বরানগর কেন্দ্র। অন্যদিকে, সম্প্রতি ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলি মারা গিয়েছেন। ফলে সেই বিধানসভা আসনও ফাঁকা পড়ে আছে। সেজন্য ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হচ্ছে।
তবে সায়ন্তিকাকে বরানগর টিকিট দেওয়া নিয়ে আপত্তি আছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরই একাংশ। ফেসবুকে বরানগর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে লিখেছিলেন, ‘বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে আমরা কোনও সেলেব্রিটি বা অভিনেতা-অভিনেত্রী চাই না। আমরা চাই, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের প্রার্থী হোন। যিনি আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের হয়ে লড়াই করবেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া এই লড়াই লড়া খুব সহজ হবে না।’ যদিও পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন সঞ্চিতা। তিনি দাবি করেন যে আবেগের বশে ফেসবুকে ওই পোস্টটি করেছিলেন।
যদিও সেইসব বিষয়ে পাত্তা দিতে চাইছেন না বরানগরের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। তিনি দাবি করবেন, বাঁকুড়ায় হেরেছেন সায়ন্তিকা। এবার বরানগরেও হারতে এসেছেন। তৃণমূল কাকে টিকিট দিল, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। বরং তাঁর দাবি, ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীর নাম যাই হোক, তিনি আদতে দুর্নীতির মুখ।