পুলিশকে হুমকি দেওয়ায় এবার বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে পুলিশে দায়ের হল অভিযোগ। পুরুলিয়ার ঝালদা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অলোক চট্টোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল নেতা। গত ১০ জানুয়ারি ঝালদায় অভিনন্দন যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন কৈলাসবাবু। তখনই ক্ষমতায় এলে পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
CAA-এ প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিনন্দন জানাতে জানুয়ারির শুরুতে পুরুলিয়ার ঝালদায় ছিল বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। সেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিজেপি কর্মীদের হঠাতে লাঠি চালায় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ছোড়া ইটে মাথা ফাটে ঝালদা থানার আইসির। সেই ঘটনায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সাংসদও।
পুলিশি লাঠিচালনার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি ঝালদায় প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সেই সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেই সভাতেই পুলিশকে হুমকি দেন কৈলাস।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্যাতনকারী আধিকারিকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ক্ষমতায় এলে ওই পুলিশ আধিকারিকদের মুরগি করে দাঁড় করিয়ে রাখবে বিজেপি।’
সেই মন্তব্যের ১৬ দিন পর গত ২৬ জানুয়ারি ঝালদা থানায় কৈলাসের বিরুদ্ধে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতা অলোক চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কৈলাস পুলিশকে হুমকি দিয়ে থাকলে সরাসরি পুলিশই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারত। তা না করে তৃণমূল নেতার অভিযোগের অপেক্ষায় কেন বসে ছিল পুলিশ। এতে কি বিজেপির করা তৃণমূল ৃ পুলিশ আঁতাঁতের অভিযোগই প্রতিষ্ঠিত হয় না?