আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার জন্য এই চার কেন্দ্রে যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি প্রচার শুরু করে দিয়েছে। দুর্গাপুজো মিটতেই নির্বাচনের ছন্দে ফিরছে বাংলা। এই উপনির্বাচনের প্রাক্কালে জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। তাও আবার দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে। বড় ভাঙন দেখা দিল পদ্মফুল শিবিরে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল ২৬৩টি পরিবার। শনিবার এই যোগদান পর্ব ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটেছে দিনহাটায়? এদিন বিজেপি ছেড়ে বিপুল পরিবার পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে এসে যোগ দিয়েছেন। যা একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের নয়ারহাট গোবরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাকলাটারি গ্রামে এই যোগদান পর্ব হয়। সেখানেই সিঙ্গল ফুল ছেড়ে জোড়াফুলে যোগদান করে ২৬৩টি পরিবার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান তথা দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ।
এই দলবদল ভোটবাক্সে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতারা। এই ঘটনার পর এখানে বৈঠকে বসে বিজেপিও। ড্যামেজ কন্ট্রোল ঠেকাতে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। যদি সে বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। আর যোগদান পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম, কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবীর, আজিজার রহমান, আলতাব হোসেন, ডেভিড ডাক্তার, মিলন সেন–সহ অন্যান্যরা।
একুশের নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে ফলাফল হয়েছে ৩–০। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট ফলাফল ৪–০ করা। সেখানে এই ভাঙন যেন সেই ইন্ধনই জোগালো বলে মনে করা হচ্ছে। উদয়ন গুহ প্রচার করে চলেছেন। এবার থেকে তাঁর সঙ্গে এই পরিবারগুলিও প্রচারে যাবেন বলেই জানা গিয়েছে।