ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহের। আজ, শনিবার হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। সিবিআই বারবার নোটিস পাঠানোয় তাঁর উপর চাপ বাড়ছিল। এবার তার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল নেতা। একুশের নির্বাচন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে নানা জায়গায় হিংসা দেখা দেয়। সেই মামলায় নাম জড়িয়ে যায় আবু তাহেরের। এই ঘটনা নিয়ে এখন জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, কোনও কিছুর আশঙ্কা থেকেই কি এমন আত্মসমর্পণ?
এদিকে দেবব্রত মাইতি হত্যা মামলা–সহ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নানা ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় আবু তাহেরের। যদিও তাঁর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবু তাহের। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছিল। এই আবহে এবার আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের নেতা। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রামের এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ–সভাপতি আবু তাহের। বিচারক কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন বেপাত্তা ছিলেন আবু তাহের। আজ, শনিবার দুপুরে হলদিয়া কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে আসেন তিনি। ২০১১ সাল থেকেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা একটি নজরকাড়া কেন্দ্র। এই নন্দীগ্রামই রাজ্য–রাজনীতির পালাবদলে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মানুষ রায় দেওয়ায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকার। এই নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে ছিল জমি আন্দোলন। একুশের নির্বাচনেও এই বিধানসভা কেন্দ্র নজরকাড়া হয়ে উঠে ছিল। কারণ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী লড়াই হয়েছিল। সেই ফলাফল সবারই জানা। তবে বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কটা আসন পাবে বাম–কংগ্রেস? তৃণমূল জানিয়ে দিল ইন্ডিয়া জোটে
তাছাড়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট আবু তাহের। সম্প্রতি তাঁর জাহাজ–বাড়ি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছে সমবায় ব্যাঙ্ক। ঋণ নিয়ে তা শোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে একুশের নির্বাচনে জিতে শুভেন্দু অধিকারীই এই কেন্দ্রের বিধায়ক হন। কিন্তু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বারবার নন্দীগ্রামকে উত্তপ্ত করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী ভোটের পরও এখানের নানা জায়গায় হিংসার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তাতে চাপ বাড়তে থাকে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে। কারণ সিবিআই স্ক্যানারে আসে আবু তাহেরের নাম।