এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতার রহস্যমৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল অন্ডালের পাণ্ডবেশ্বর এলাকায়। আজ, রবিবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নদিয়া ধীবরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছোড়া গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে মনে করলেও খুনের বিষয়টি এখনই উড়িয়ে দেয়নি।
ঠিক কী ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নদিয়া ধীবরের বাড়ি অন্ডাল থানার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ছোড়া গ্রামে। রবিবার নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। নদিয়া পেশায় আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি দেখে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা।
পরিবার ঠিক কী বলছে? পরিবার সূত্রে খবর, রোজকার মতোই শনিবার রাতে খাওয়ার পর নদিয়াবাবু নির্দিষ্ট ঘরে ঘুমতে যান। সকালে উঠে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখেন। তারপর দোতালায় নিজের ঘরে চলে যান। কিন্তু বাড়ির পরিচারিকা দোতালায় ঘর সাফ করতে গিয়ে দেখেন নদিয়ার ঝুলন্ত দেহ। পরিচারিকার চিৎকারে পরিবারের সদস্য–সহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা প্রসঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন দক্ষ নেতা চলে গেলেন। উনি ভাল নেতা ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষ সৈনিক ছিলেন তিনি। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দলগতভাবেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ নদিয়া ধীবর আগে ছোড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের সদস্য হন। এখন তিনি ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে।