পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেলেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রয়েছে গ্রামবাংলার নানা প্রান্তে। হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েও বিরাট কোনও সাফল্য আনতে পারেননি। তখন থেকেই তিনি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। এবার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ইসলামপুরের বিধায়ক। তাঁর অনুগামী বহু নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর হওয়ায় হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
তবে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও লোকসান হবে না। কিন্তু অস্বস্তি বাড়ল প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করার জন্য। তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে সুর চড়ালেন ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি আজ, রবিবার সোচ্চার হযে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এভাবে তৃণমূল সন্ত্রাস চালালে রাজ্যসভায় ভোট দিতে যাব না। সরকার কোনও বিল আনলে সমর্থন করব না।’ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে নির্দল প্রার্থীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল করিম চৌধুরী।
এদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটিখুন্তি অঞ্চলের বুধাগছ, দিঘিরপাড়–সহ নানা গ্রামের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তারপরই বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলা সত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এই অত্যাচার বন্ধ না হলে আমি সরকারের কাজকর্মের বিরোধিতা চালিয়ে যাব।’ তবে বিধায়কের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন পাল্টা বলেন, ‘যারা বাড়ি ছেড়ে বাইরে আছেন ভোটের দিন তারা এলাকায় গুলি চালিয়েছিল। তার জন্য ভোট বন্ধ হয়েছিল। সেই অভিযোগে পুলিশ তাদের খুঁজছে। গ্রেফতার এড়াতেই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জেলে পাঠানো উচিত’, বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্টে আলোড়ন
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরোধ বরাবরই দলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি করেছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোয় সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়। আর ভোটে জিতে এসে বিধায়ককে নানা কটূক্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার অত্যাচারের মাত্রা তৃণমূল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিধায়কের। আর বিধায়কের অনুগামী ফরিদা বানু বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের ২০ জনকে মারধর করেছে। আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’