একুশের নির্বাচনের পর থেকে বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুরু হয় কর্মী–সমর্থক দিয়ে। তারপর ধাপে ধাপে ভাঙন ধরে নেতা–বিধায়ক–সাংসদ ব্যাঙ্কে। এমনকী আরও ভাঙবে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন তাঁরা ঢ্যাঁড়শ, মূলো। এমনই কটাক্ষ শোনা গেল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়।
আর এই মন্তব্যে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ অনেক হেভিওয়েট নেতা–বিধায়ক–সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা কী ঢ্যাঁড়শ, মূলো? উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু রবিবার বনগাঁ শিমুলতলা আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাবের ৩৬তম দুর্গাপূজার উদ্বোধনে এসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক মদন মিত্র। এখানে ওয়ে লাভলি–সহ নানা গান গেয়ে মাতিয়ে দেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কুমড়ো বলে কটাক্ষ করেন। এমনকী গান করলেন, ‘কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো অনেক দামে বিক্রি হল, সঙ্গে ছিল ঢ্যাঁড়শ–মূলো সব ব্যাক করছে।’ এই গানের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এদিন পুজোমণ্ডপের দ্বারে ফিতে কেটে উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এই পুজোর উদ্যোক্তা ডাকু এবং জ্যোৎস্নার সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক। ডাকু এখন চেয়ারম্যান নেই তাই বলে তো সম্পর্ক হারিয়ে যেতে পারে না। ডাকুর আহবানে সাড়া দিয়ে আজকের এই পুজো উদ্বোধন করলাম। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরা নেতারা আসলে ঢ্যাঁড়শ–মূলো। আমি বাংলার ত্রাশ হতে চাই না। আমি চাই বিজেপি যখন দাঙ্গা করবে তখন বনগাঁর ত্রাস হতে।’