কথা ছিল। আর সেই কথা রাখলেন তিনি। নৈহাটির বড়মা কালী মন্দিরে এলেন তিনি। আর ভক্তিভরে পুজো দিলেন। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার দুপুরসেখানে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এদিন তাঁর পাশেই ছিলেন তাপস রায়, অর্জুন সিং, পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসু–সহ নেতা–মন্ত্রীরা। প্রথমে বড়মার মাটির প্রতিমায় পুজো দেন অভিষেক। তারপর বড়মার নবনির্মিত মন্দিরে ঢোকেন অভিষেক। দর্শন করেন বড়মার নতুন কষ্টিপাথরের মূর্তির। সেখানও গিয়ে প্রতিমার সামনে বসে পুজো করেন তিনি। এই ঘটনা দেখতে জেলার মানুষ ভিড় জমান সেখানে।
এদিকে প্রায় ২০ মিনিট মন্দিরের ভিতরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুজো দেন তিনি। কথা বলেন পুরোহিত–সহ মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। মন্দিরে নিজের হাতে আরতিও করতে দেখা গেল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে। সেই ছবি অনেকে ফ্রেমবন্দি করে রাখেন। অভিষেকের এই সফরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। আগে মন্দির উদ্বোধনের দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা শোনা গিয়েছিল। যদিও সেদিন তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। এবার নিজে হাতে পুজো দিয়ে বাংলার মানুষের কল্যাণ চাইলেন অভিষেক।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে নৈহাটির অরবিন্দ রোডের কাছে বড়মার নতুন কালী মন্দিরের উদ্বোধন হয়। মন্দির কমিটি অভিষেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন ওই অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সেই সময় মন্দির কর্তৃপক্ষকে শুভেচ্ছাপত্র পাঠান অভিষেক। কথা দেন আসবেন। সেই কথা রাখলেন অভিষেক। আর তাতেই খুশি মন্দির কমিটি। এই বছর শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে নৈহাটির বড়মার। সেই উপলক্ষ্যে প্রায় একবছর ধরে চলতে থাকে প্রস্তুতি। তৈরি করা হয় নতুন মন্দির। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন বিগ্রহও। এই বছর কালীপুজোয় রেকর্ড সংখ্যক ভক্ত সমাগম হয়েছিল বড়মার মন্দিরে।
আরও পড়ুন: জয়নগরে তাণ্ডবের পর অসহায় একের পর এক পরিবার, শিশুগুলি একমুঠো খাওয়ার জন্য রাস্তায়
অভিষেকের বড়মার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সেটা নিয়ে টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস। মন্দিরের কমিটির মতে, বড় মা এখন কেবল নৈহাটির নয়, বড়মা এখন সবার। আর তাই বড়মা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বারবারই বার্তা দেওয়া হয়, ধর্ম হোক যার যার বড় মা সবার। আর এই বছর ১০০ ঘণ্টা প্রসাদ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় মার মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তিনি সকলের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন। বড় মার আশীর্বাদের আলো সকলের চলার পথে পড়ুক এবং আমাদের সততার পথ দেখায়।’