বীরভূম কেন্দ্র নিয়ে এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এখানকার বিজেপি প্রার্থী কে? তাই নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কারণ এই কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল করার পরেই দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার থেকে তাঁর নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তবে সেখানকার অধিকাংশ জায়গাতেই পুরনো প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন এখনও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় এখানকার প্রার্থী কে? তা নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যদিও জেলার শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন দেবাশিস ধর, গ্রহণই করা হল না মামলা
রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর সেখানে বিজেপির অবস্থা এখন নড়বড়ে। উল্লেখ্য, মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে দেবাশিস প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে হাইকোর্টে আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। পরে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান দেবাশিস। তবে সুপ্রিম কোর্টও সেই আবেদন গ্রহণ করেনি। তারমধ্যে এই কেন্দ্রে ভোটের আর বেশি দেরি নেই। আগামী ১৩ মে ভোট রয়েছে বীরভূমে। ফলে হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এই অবস্থায় দেওয়ায় লিখন ঘিরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
বীরভূমের এক বিজেপি নেতার কথায়, নতুন প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখনের আগে পুরনো প্রার্থীর নাম মুছে দেওয়া উচিত ছিল। যদিও তাঁর আশঙ্কা এই কেন্দ্র দেবাশিস নামের অন্য কোনও নির্দল প্রার্থী থাকলে সে ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি আরও বাড়ত। জেলার নেতাদের অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় শোনার পরে পুরনো প্রার্থীর নাম মুছে নতুন প্রার্থীর নাম লেখা হবে। তবে তার আগে ফাঁকা জায়গায় দেবতনুর নামে দেওয়াল লেখা হচ্ছে।
যদিও বিজেপির কর্মীদের অনেকের মতে, প্রার্থী ঘোষণার পরেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বহু পঞ্চায়েত এলাকায় দেবাশিসের নামে কয়েকশো দেওয়াল লিখন হয়েছে। এখন এতগুলি দেওয়াল লিখন মুছে নতুন করে দেওয়াল লিখন করাটাই বেশ চাপের ব্যাপার। তবে এ নিয়ে বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করতে চাননি বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি বাবন দাস। তিনি মনে করেন, বীরভূমের মানুষ পদ্মফুলকে চেনেন। কে প্রার্থী সেটা বড় বিষয় নয়। মানুষ পদ্মফুলেই ভোট দেবেন। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নেই।