বিজেপি যখন রাজ্যে নবান্ন অভিযান করবে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে থাকবেন। কারণ তাঁর জেলা সফর শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেও জানিয়েছেন ডাক পাননি। গত দু’বছর ধরে রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে ডাক না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। বাড়ির লোক দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছে। তাই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন তমলুকের সাংসদ? আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ সেখানে ডাকা হয়নি দিব্যেন্দু অধিকারীকে। আজ, শনিবার হলদিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসছেন। কিন্তু আমি উপস্থিত থাকার জন্য কোনও ডাক পেলাম না৷ তবে আমাকে কেন ডাকা হয়নি, জানি না৷ কারণটা নিশ্চয়ই জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারবেন৷ তবে এটুকু বলতে পারি, সাংসদ হিসাবে আমি দু’বছর রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই না। এর থেকে দুঃখের আর কি আছে।’
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? সূত্রের খবর, দলীয় সাংসদরা কেমন করে টাকা খরচ করবেন সম্প্রতি সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। যদিও দিব্যেন্দু অধিকারীকে সেটাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ এই বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই উনি দিল্লি যেতে পেরেছেন। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যা যা উক্তি করেছেন, তারপরেও কিভাবে এমন প্রত্যাশা করেন?’
কেন এমন ঘটনা ঘটল? এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হলেও গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তাঁকে দলের কোনও অনু্ষ্ঠানে দেখা যায়নি। একুশের নির্বাচনের প্রচারেও বেরতে দেখা যায়নি তাঁকে৷ বরং দাদা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ নিয়েই মতপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল দিব্যেন্দু এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারীকে৷ অমিত শাহের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। দিব্যেন্দু নিজে না গেলেও স্ত্রীকে পাঠইয়েছিলেন। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মুখে নতুন করে খবরে আসতেই আমন্ত্রণের প্রসঙ্গ টানছেন দিব্যেন্দু বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।