অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পরই রাতারাতি দখল হয়ে গিয়েছিল সিপিএমের কৃষক সংগঠনের কার্যালয়। বসিরহাটের এই কার্যালয়টি ফিরে পেতে নানা কাঠখড় পুড়িয়েছেন বাম নেতৃত্ব। কিন্তু কিছুতেই তা ফেরৎ পাচ্ছিলেন না তাঁরা। এনিয়ে মহা ফাঁপড়ে পড়ে যান তাঁরা। এরপরই কার্যালয় দখলের বিষয়টি বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে যায়। দ্রুত এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। একেবারে হাতে মিষ্টি নিয়ে ওই কার্যালয়ের সামনে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক। প্রথমে কার্যালয়ের চাবি তিনি তুলে দেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য রাজু আহমেদের হাতে। এরপর সিপিএম নেতাকে মিষ্টি খাওয়ান তিনি। তৃণমূল বিধায়কের ওই সৌজন্যতার নজির মন ছুঁয়ে যায় অনেকেরই। বিধায়ককেও মিষ্টিমুখ করান ওই সিপিএম নেতা। তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব ও পুলিশ আধিকারিকরাও এদিন হাজির ছিলেন।
চাবি ফেরৎ পেয়ে আপ্লুত সিপিএম কর্মীরা। তৃণমূলের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সরকার রাজ্যে গণতন্ত্র চায়। সাম্প্রদায়িক কোনও শক্তিকে রাজ্যে চাই না। বিরোধী হিসাবে সিপিএমকে চাই। আমি রাজনীতির মানুষ ছিলাম না। চিকিৎসক ছিলাম। এখন বিধায়ক হয়েছি। সিপিএমের কার্যালয় দখল করা হয়েছে এই খবর পেয়েই সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছিলাম। পুলিশ এব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।’ আর সিপিএম নেতা রাজু আহমেদ বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের ধন্যবাদ। এটি সৌজন্যের নজির হয়ে থাকবে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, দলীয় কার্যালয় যে কোনও দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। রাজনৈতিক আদর্শের লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু একে অপরে কার্যালয় দখল করা কখনই কাম্য নয়। সেই বার্তাই এবার দিতে চাইল শাসকদল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিজেপির কার্যালয় দখল হলে সেটাও কী এইভাবে ফেরৎ দেবে তৃণমূল?