বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের শাখা সংগঠনগুলিকে ঢেলে সাজাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এই শাখা সংগঠনগুলিই জনসংযোগের কাজ করবে। সেখানে কোনও ফাঁক রাখতে চান না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিভিন্ন শাখায় দলীয় পদাধিকারীদের রদবদল করা হবে বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, জেলা সভাপতি এবং ব্লক স্তরেও পরিবর্তন হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। জেলা কমিটির কাজেরও মূল্যায়ন করা চলছে এখন। সাংগঠনিক দিক থেকে শহর ও জেলাতেও রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই রদবদল নজরে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এসটি সেলে। এই সেলের সভাপতি করা হয়েছে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে। জঙ্গলমহলের কন্যা বলেই তিনি পরিচিত। আবার আদিবাসী মহলেও তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয়পাত্রী। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে এসে বীরবাহা হাঁসদার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। তারপরে তৃণমূল ভবনে বীরবাহা হাঁসদাকে ডেকে পাঠান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেখানেই তাঁর হাতে দলের এসটি সেলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আগে এই এসটি সেলের সভাপতি ছিলেন দেবু টুডু। তাঁকে এখন এসটি সেলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসলে বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করে থাকে। সেখানে যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হন এবং বিজেপির ভুয়ো প্রতিশ্রুতিতে বিভাজিত না হন তাই এই সেল অনেকটা শক্তিশালী করা হল। নয়া দায়িত্ব পেয়ে বীরবাহা জানান, সবার সঙ্গে আলোচনা করে এসটি সেলের রাজ্য এবং জেলা কমিটি গড়ে তুলবেন। তারপর কলকাতায় এবং জেলায় করবেন সম্মেলন। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামবে এসটি সেল। রাজ্য সরকার তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য যে উন্নয়ন করেছে সেটা সকলের সামনে তুলে ধরা হবে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের পুলিশ হেফাজত, আত্মসমর্পণেও লাভ হল না
আর কী করা হবে? মোদী সরকারের জমানায় তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর নানা বঞ্চনা, লাঞ্চনা, আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীদের। সেইসব ঘটনা এবার প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হবে। দল চাইছে সাংগঠনিক দিক থেকে শক্তি বাড়াতে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এখনই সাংগঠনিক স্তরে মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। ছাত্র–যুব শাখার কাজকর্ম খতিয়ে দেখে সেখানে পরিবর্তন আনার হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এগুলি ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সেল কেমন কাজ করছে, সেটাও খতিয়ে দেখছে দল। যেসব জেলায় বিজেপির শক্তি আছে সেখানে বাড়তি জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।